প্রশ্ন
অজু করতে গেলে যদি ঈদের নামায ছুটে যাওয়ার আশংকা দেখা দেয় তাহলে তায়াম্মুম করা যাবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
মুসলমানদের জীবনকে সহজসাধ্য করার জন্য শরিয়তে তায়াম্মুমের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
وَإِنْ كُنْتُمْ مَرْضَى أَوْ عَلَى سَفَرٍ أَوْ جَاءَ أَحَدٌ مِنْكُمْ مِنَ الْغَائِطِ أَوْ لَامَسْتُمُ النِّسَاءَ فَلَمْ تَجِدُوا مَاءً فَتَيَمَّمُوا صَعِيدًا طَيِّبًا فَامْسَحُوا بِوُجُوهِكُمْ وَأَيْدِيكُمْ مِنْهُ مَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيَجْعَلَ عَلَيْكُمْ مِنْ حَرَجٍ وَلَكِنْ يُرِيدُ لِيُطَهِّرَكُمْ وَلِيُتِمَّ نِعْمَتَهُ عَلَيْكُمْ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
‘আর যদি অসুস্থ হও কিংবা সফরে থাক অথবা যদি তোমাদের কেউ পায়খানা থেকে আসে অথবা তোমরা যদি স্ত্রী সহবাস কর অতঃপর পানি না পাও, তবে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম কর। সুতরাং তোমাদের মুখ ও হাত তা দ্বারা মাসেহ কর। আল্লাহ তোমাদের উপর কোন সমস্যা সৃষ্টি করতে চান না, বরং তিনি চান তোমাদের পবিত্র করতে এবং তার নিআমত তোমাদের উপর পূর্ণ করতে, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর।’ [সূরা মায়েদা, আয়াত: ৬]
তাই ঈদের নামায ছুটে যাওয়ার আশংকা দেখা দিলে তায়াম্মুম করে নামায আদায় করা যাবে।
রদ্দুল মুহতার ১/৪৫০; ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া ১/৩১; আলমুহিতুল বুরহানি ১/৩১৭
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم