প্রশ্ন
আমি একদিন একাকি ফজরের নামায পড়ছিলাম। পরবর্তীতে দুইজন ব্যক্তি আমার পিছনে ইকতেদা করে। কিন্তু আমি বাকি নামায একাকি আদায়কারীর ন্যায় শেষ করি। নামায শেষে মুক্তাদীরা বলে, আপনার জন্য উচ্চস্বরে কেরাত পড়া জরুরি ছিল। জানতে চাচ্ছি, আমার কি নামায হয়েছিল?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
হানাফী মাযহাব মতে ইমাম কর্তৃক ইমামতির নিয়ত করা জরুরি নয়। বরং নিয়ত ছাড়াও তার পিছনে ইকতেদা সহিহ হবে। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ رضي الله عنه قَالَ: احْتَجَرَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم حُجَيْرَةً مُخَصَّفَةً أَوْ حَصِيرًا، فَخَرَجَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي فِيهَا، فَتَتَبَّعَ إِلَيْهِ رِجَالٌ وَجَاؤُوا يُصَلُّونَ بِصَلَاتِهِ
‘যায়দ ইবনে সাবিত (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খেজুরের পাতা দিয়ে, অথবা চাটাই দিয়ে একটি ছোট হুজরা তৈরী করলেন এবং ঘর থেকে বেরিয়ে এসে ঐ হুজরায় (রাতে নফল) সালাত আদায় করতে লাগলেন। তখন একদল লোক তাঁর খোঁজে এসে তাঁর সঙ্গে সালাত আদায় করতে লাগল।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬১১৩]
কাজেই আপনার পিছনে তাদের ইকতেদা সহিহ হয়েছিল।
এক্ষেত্রে লক্ষণীয়, একাকি নামায আদায়কারী ব্যক্তির পেছনে কেউ যদি ইকতেদা করে আর সে ঐ ব্যক্তির ইমামতির নিয়ত করে তাহলে তার উপর ইমামের বিধান আরোপিত হবে। অর্থাৎ উচ্চ স্বরে কিরাত বিশিষ্ট নামাযে জোরে কিরাত পড়া আবশ্যক হবে। এক্ষেত্রে কিরাত অবস্থায় কেউ শরীক হলে বাকি কিরাত তাকে উচ্চ স্বরেই পড়তে হবে। আর যদি একাকি নামায আদায়কারী ব্যক্তি শরীক হওয়া লোকটির ইমামতির নিয়ত না করে তাহলে তার উপর উচ্চ স্বরে কিরাত পড়া আবশ্যক হবে না। এক্ষেত্রে নিম্নস্বরে কিরাত পড়লেও সকলের নামায সহিহ হয়ে যাবে।
কাজেই আপনি যদি নিয়ত না করে থাকেন তাহলে সেদিনের নামায শুদ্ধ হয়েছিল। কিন্তু যদি নিয়ত করে থাকেন তাহলে আপনার উপর সাহু সেজদা আবশ্যক হয়েছিল।
রদ্দুল মুহতার ১/৫৩২
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم