প্রশ্ন
আমার মুরগির ফার্ম আছে। সেখান থেকে আমি প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে ডিম সাপ্লাই দিয়ে থাকি। কয়েকজন ব্যবসায়ী নিয়মিত আমার থেকে নগদ টাকার বিনিময়ে ডিম নেয়। তবে মাঝে মাঝে তারা টাকা পরিশোধ করতে দেরি করে ফেলে। তাই আমি তাদের কাছ থেকে কিছু টাকা জামানত নিয়ে রেখেছি। যেন টাকা দিতে দেরি করলে আমি সেই টাকা থেকে আমার পাওনা টাকা নিয়ে নিতে পারি। তাই এখন আমি জানতে চাচ্ছি, এই জামানত রাখা কি জায়েয আছে? আর জামানতের টাকা থেকে কি আমি ব্যবহার করতে পারব?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার জন্য ডিম ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জামানত হিসেবে টাকা নেওয়া জায়েয। তবে এ টাকা ব্যবহার করা আপনার জন্য বৈধ হবে না। কেননা এ টাকা বন্ধকি বস্তুর হুকুমে। আর বন্ধকি বস্তু ব্যবহার করা নাজায়েয। তা ব্যবহার করা সুদের অন্তর্ভুক্ত। মুহাম্মাদ ইবনে সীরীন (রাহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-
جَاءَ رَجُلٌ إِلَى ابْنِ مَسْعُودٍ فَقَالَ: إِنّ رَجُلًا رَهَنَنِي فَرَسًا فَرَكِبْتُهَا قَالَ: مَا أَصَبْتَ مِنْ ظَهْرِهَا فَهُوَ رِبًا.
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)-এর নিকট এক ব্যক্তি এসে বলল, আমার নিকট এক ব্যক্তি একটি ঘোড়া বন্ধক রেখেছে। আমি তাতে আরোহণ করেছি। (এর হুকুম কী?) তখন আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বললেন, তুমি এতে আরোহণ করে যে উপকার লাভ করেছ তা সুদের অন্তর্ভুক্ত। (মুসান্নাফে আব্দুর রায্যাক, বর্ণনা: ১৫০৭১)
সুতরাং আপনার জন্য তা ব্যবহার করা জায়েয নয়। তা হেফাজত করে রেখে দিতে হবে। পরবর্তীতে ব্যবসায়ী মূল্য পরিশোধে বিলম্ব করলে ওই টাকা থেকে আপনি আপনার পাওনা নিয়ে নিতে পারবেন।
-আলবাহরুর রায়েক ৮/২৪৪; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৭/১৫৫; মাজমাউল আনহুর ৪/২৮২; আলইনায়া শরহুল হেদায়া ৯/৮৭; শরহুল মাজাল্লাহ, আতাসী ৩/১৪৩; রদ্দুল মুহতার ৬/৪৮২
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم