প্রশ্ন
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, নাকের সর্দি কি নাপাক? নামায পড়ার সময় বা অন্য কোনো সময় আমার নাকে সর্দি আসলে হাতের কাছে কোনো রুমাল না থাকলে তখন জামার আস্তিন দিয়ে মুছে ফেলি। এতে কি আমার জামা নাপাক হয়ে যাবে? সেই জামা গায়ে দিয়ে নামায পড়লে কি আমার নামায হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
নাকের সর্দি বা পানি নাপাক নয়। তবে যদি পুঁজ হয় তাহলে তা নাপাক। সুতরাং নাকের পানি কাপড়ে লাগলে পবিত্র করা কিংবা পরিবর্তন করা জরুরি নয়। উক্ত কাপড়সহ নামায পড়া জায়েজ আছে। তবে ময়লার কারণে খারাপ লাগলে পরিষ্কার করে নিতে পারেন।
হাদিস শরিফে এসেছে, আম্মার ইবনে ইয়াসির (রাযি.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-
: أَتَى عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ – ﷺ – وَأَنَا عَلَى بِئْرٍ أَدْلُو مَاءً فِي رِكْوَةٍ لِي ، فَقَالَ : يَا عَمَّارُ ، مَا تَصْنَعُ ؟ قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، بِأَبِي وَأُمِّي ، أَغْسِلُ ثَوْبِي مِنْ نُخَامَةٍ أَصَابَتْهُ . فَقَالَ يَا عَمَّارُ ، إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ : مِنَ الْغَائِطِ ، وَالْبَوْلِ ، وَالْقَيْءِ ، وَالدَّمِ ، وَالْمَنِيِّ ، يَا عَمَّارُ ، مَا نُخَامَتُكَ وَدُمُوعُ عَيْنَيْكَ وَالْمَاءُ الَّذِي فِي رِكْوَتِكَ إِلَّا سَوَاءٌ
রাসূলুল্লাহ (সা.) আমার নিকট এলেন, তখন আমি একটি কূপ থেকে বালতি দিয়ে পানি তুলে আমার একটি পানির পাত্রে ভর্তি করছিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আম্মার! তুমি কি করছো? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক। আমি আমার পরিধেয় বস্ত্রে লেগে যাওয়া শ্লেষ্মা পরিষ্কার করছি। তিনি বলেন, হে আম্মার! পাঁচটি জিনিস থেকে কাপড় ধৌত করা প্রয়োজন- বিষ্ঠা, পেশাব, বমি, রক্ত ও বীর্য। হে আম্মার! তোমার নাকের শ্লেষ্মা, তোমার উভয় চোখের অশ্রু এবং তোমার এই পানির পাত্রের পানি একই সমান (পাক-নাপাকির হুকুমের ক্ষেত্রে)। (সুনানে দারাকুতনী, ৪৫০)
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم