প্রশ্ন
আমার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। সেখানে হিফয বিভাগও আছে। তো রমযান মাসে ছাত্রদের ইয়াদ মজবুত করার উদ্দেশ্যে তারাবীর নামায পড়ানোর জন্য ছাত্রদের কয়েকটা গ্রুপ করা হয়ে থাকে। কোনো কোনো গ্রুপে নাবালেগ ছাত্র ইমামতি করে এবং তার পিছনে বালেগ ছাত্র বা উস্তাদ ইক্তিদা করে। তো আমার জানার বিষয় হলো, নাবালেগের পিছেনে বালেগ ব্যক্তির ইক্তিদা সহিহ আছে?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
নাবালেগ বাচ্চার পেছনে প্রাপ্তবয়স্কদের এক্তেদা সহিহ নয়। বিশুদ্ধমতে উক্ত বিধানটি ফরয-নফল সব ধরনের নামাযের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তাই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্ক কোনো ছাত্র বা উস্তাযের জন্য নাবালেগ ছাত্রের পেছনে তারাবীর নামাযে এক্তেদা করা জায়েয হবে না। হযরত আতা ও উমর ইবনে আবদুল আযীয (রাহ.) থেকে বর্ণিত, তাঁরা বলেন-
لاَ يَؤُمُّ الْغُلاَمُ قَبْلَ أَنْ يَحْتَلِمَ فِي الْفَرِيضَةِ وَلاَ غَيْرِهَا.
নাবালেগ বাচ্চা ফরয-নফল কোনো নামাযেই ইমামতি করবে না। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, বর্ণনা: ৩৫২৪)
প্রকাশ থাকে যে, এক্ষেত্রে ছোট ছাত্র ও বড় ছাত্ররা আলাদা আলাদা জামাত করতে পারে। তাহলে তাতে মাসআলাগত সমস্যা থাকবে না।
-রদ্দুল মুহতার ১/৫৭৬; ফাতহুল কাদীর ১/৩১০; আলইখতিয়ার ১/২০২; ইমদাদুল ফাত্তাহ, পৃ. ৩৩১; হালবাতুল মুজাল্লী ২/৩৭৫
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم