প্রশ্ন
ঢাকা এয়ারপোর্টের পাশে অবস্থিত কাওলা এলাকায় একটি মার্কেটে আমার দোকানের পজিশন আছে। বর্তমানে আমি তাতে ব্যবসা করছি। কিন্তু ব্যবসায় তেমন লাভ হচ্ছে না। তাই আমি তা ভাড়া দিয়ে দিতে চাচ্ছি। বিভিন্ন ইসলামী ব্যাংক ও জেনারেল ব্যাংক ভাড়া নেওয়ার জন্য আমার সাথে যোগাযোগ করছে। যেহেতু ব্যাংকগুলো সুদি লেনদেনের সাথে জড়িত তাই একজন মাওলানা সাহেবকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, সুদি ব্যাংকের কাছে ভাড়া দেওয়া তাকওয়ার খেলাফ আর ইসলামী ব্যাংকের কাছে ভাড়া দিলে কোনো সমস্যা নেই। আমার ভাই আলেম। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, ইসলামী ব্যাংকের কাছে ভাড়া না দিয়ে সাধারণ দোকান ভাড়া দিতে।কারণ এসলামী ব্যাংকও সুদি লেনদেন করে থাকে। এখন আমি বিষয়টি নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছি। সাধারণ ব্যাংক অথবা ইসলামী ব্যাংকের কাছে ভাড়া দেওয়া যাবে কি? মুফতী সাহেবের কাছে শরীয়তের আলোকে সমাধান চাচ্ছি।
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
সুদী ব্যাংকের কাছে দোকান ভাড়া দেওয়া না জায়েয। কেননা, এর দ্বারা সুদী কারবারে সহযোগিতা করা হয়। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
وَ تَعَاوَنُوْا عَلَی الْبِرِّ وَ التَّقْوٰی ۪ وَ لَا تَعَاوَنُوْا عَلَی الْاِثْمِ وَ الْعُدْوَانِ .
আর তোমরা নেকী ও তাকওয়ায় পরস্পর সহযোগিত কর। গুনাহ ও সীমালঙ্ঘনে একে অপরকে সহযোগিতা করো না। (সূরা মায়েদা: ২)
দ্বিতীয়ত, সুদী ব্যাংকগুলোর আয়ের প্রধান উৎস সুদের টাকা। সুতরাং জেনেবুঝে এই হারাম টাকা গ্রহণ করা বৈধ হবে না। আর আমাদের দেশের ইসলামী ব্যাংকগুলো শরীয়া ভিত্তিক বলে দাবি করলেও বাস্তব পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এদের বিনিয়োগ কার্যক্রমগুলোতে অনেক ক্ষেত্রেই যথাযথভাবে শরয়ী নীতিমালা পালিত হয় না। যার দরুন তাদের ঐসমস্ত আয়ের টাকাগুলোও হালাল হয় না। তাই যতদিন পর্যন্ত এসব ব্যাংকে শারীয়াহ পরিপালনের বিষয়টি নিশ্চিত না হবে ততদিন পর্যন্ত এসব ব্যাংকের কাছে দোকান ভাড়া দেওয়া থেকে বিরত থাকা নিরাপদ হবে।
– রদ্দুল মুহতার ৬/৩৮৫; গামযু উয়ূনিল বাসাইর ১/৩৪৫; জাওয়াহিরুল ফিকহ, মুফতী মুহাম্মাদ শফী রাহ. ২/৪৫৩
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم