প্রশ্ন
আমাদের এলাকায় এক ব্যক্তি মৌখিকভাবে তার ৫ শতাংশ জমি মসজিদের জন্য ওয়াকফ করেছে। তার উপর ভিত্তি করেই ৫ শতাংশ জমির উপর মসজিদ নির্মিত হয়েছে। কিন্তু ওয়াকফের দলিলে ৩.৫ শতাংশ জমির উল্লেখ আছে। জানতে চাচ্ছি, কোনটা গ্রহণযোগ্য হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
ওয়াকফ সহীহ হওয়ার জন্য লিখিত হওয়া জরুরি নয়। বরং মৌখিকভাবে ওয়াকফ করলেও ওয়াকফ সহীহ হয়ে যায়। আর ওয়াকফের সম্পত্তি ক্রয় বিক্রয় করা বৈধ নয়। হাদিস শরিফে এসেছে,
فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم: (تَصَدَّقْ بِأَصْلِهِ، لَا يُبَاعُ وَلَا يُوهَبُ وَلَا يُورَثُ، وَلَكِنْ يُنْفَقُ ثَمَرُهُ). فَتَصَدَّقَ بِهِ عُمَرُ
উমর (রা.) একটি খেজুর বাগান ওয়াকফ করতে চাইলে রাসূলুল্লাহ (সা.) তাকে বলেছিলেন: ‘তুমি মূল সম্পত্তিটি এভাবে সদকা (ওয়াকফ) কর যে,لاَ يُبَاعُ وَلاَ يُوهَبُ وَلاَ يُورَثُ، وَلَكِنْ يُنْفَقُ ثَمَرُهُ তা বিক্রি করা যাবে না, কাউকে দান করা যাবে না এবং এতে উত্তরাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে না। এর থেকে উৎপন্ন ফলফলাদি (নির্ধারিত খাতে) ব্যয় হবে। এরপর উমর (রা.) তা ঐভাবে সদকা (ওয়াকফ) করেছিলেন।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৭২৪]
কাজেই ৫ শতাংশ জমিই মসজিদের জন্য বরাদ্দ হবে। মালিক পক্ষের উচিৎ অতিসত্ত্বর বাকি জমিরও রেজিষ্ট্রি সম্পন্ন করে দেওয়া।
দুরারুল হুক্কাম ২/১৩৪
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم