প্রশ্ন
জনৈক ব্যক্তি তার একটি দোকান এভাবে ওয়াকফ করেছিল যে, এই দোকানের যাবতীয় আয় মসজিদের কাজে ব্যয় হবে এবং শবে বরাত, শবে কদর, ঈদে মিলাদুন্নবীতে এই টাকা দিয়ে লাইটিং ও তবারক বিতরণ করতে হবে। তিনি মসজিদের সভাপতি ছিলেন। তার মৃত্যুর পর তার ছেলে মসজিদের সভাপতি হয়। তিনি বিদআতি কর্মকান্ডে টাকা খরচ করবেন না। জানতে চাচ্ছি, তার জন্য এমনটা করা বৈধ হবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
উক্ত দোকান থেকে যা আয় হবে তা মসজিদের কল্যাণে ব্যয় করতে হবে। হাদিস শরিফে এসেছে,
فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم: (تَصَدَّقْ بِأَصْلِهِ، لَا يُبَاعُ وَلَا يُوهَبُ وَلَا يُورَثُ، وَلَكِنْ يُنْفَقُ ثَمَرُهُ). فَتَصَدَّقَ بِهِ عُمَرُ
উমর (রা.) একটি খেজুর বাগান ওয়াকফ করতে চাইলে রাসূলুল্লাহ (সা.) তাকে বলেছিলেন: ‘তুমি মূল সম্পত্তিটি এভাবে সদকা (ওয়াকফ) কর যে,لاَ يُبَاعُ وَلاَ يُوهَبُ وَلاَ يُورَثُ، وَلَكِنْ يُنْفَقُ ثَمَرُهُ তা বিক্রি করা যাবে না, কাউকে দান করা যাবে না এবং এতে উত্তরাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে না। এর থেকে উৎপন্ন ফলফলাদি (নির্ধারিত খাতে) ব্যয় হবে। এরপর উমর (রা.) তা ঐভাবে সদকা (ওয়াকফ) করেছিলেন।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৭২৪]
কিন্তু শরিয়ত বিরোধী কোনো কাজে তা ব্যয় করা যাবে না। এমনকি ওয়াকফের সময় তা উল্লেখ করলেও। সুতরাং তার ছেলের জন্য এমনটি করার সুযোগ রয়েছে। সে মসজিদের কল্যাণে ব্যয় করার পর য অবশিষ্ট থাকবে তা মসজিদের ফান্ডে জমা করে দিবে।
রদ্দুল মুহতার ৪/৩৪৩
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم