প্রশ্ন
আমি সৌদীতে ক্লিনার হিসেবে কাজ করি। হজ্বের মৌসুমে কখনো কখনো আরাফায় ডিউটি পড়ে। জানতে চাচ্ছি, আরাফার দিন কি আমিও যোহর আসর এক সাথে পড়ব?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
যিলহজ্ব মাসের ৯ তারিখ আরাফার ময়দানে যোহর আসরের নামায একত্রে পড়া সুন্নত।
হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: غَدَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ مِنًى حِينَ صَلَّى الصُّبْحَ صَبِيحَةَ يَوْمِ عَرَفَةَ حَتَّى أَتَى عَرَفَةَ فَنَزَلَ بِنَمِرَةَ، وَهِيَ مَنْزِلُ الْإِمَامِ الَّذِي يَنْزِلُ بِهِ بِعَرَفَةَ حَتَّى إِذَا كَانَ عِنْدَ صَلَاةِ الظُّهْرِ رَاحَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مُهَجِّرًا فَجَمَعَ بَيْنَ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ، ثُمَّ خَطَبَ النَّاسَ، ثُمَّ رَاحَ فَوَقَفَ عَلَى الْمَوْقِفِ مِنْ عَرَفَةَ
‘আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসূলুল্লাহ (সা.) আরাফার দিন সকালে ফজর নামায পড়লেন এবং মিনা থেকে আরাফার উদ্দেশে রওনা হলেন। আরাফায় পৌঁছে নামিরাতে অবস্থান করলেন। নামিরা হলো আরাফার ঐ স্থান যেখানে ইমাম অবস্থান করেন। অতপর যখন জোহরের সময় হলো তখন দ্রুত নামায আদায় করলেন এবং জোহর ও আসর একত্রে পড়লেন। অতপর খুতবা দিলেন। খুতবা শেষে আরাফার মাওক্বিফের দিকে রওনা হলেন এবং সেখানে উকূফ (অবস্থান) করলেন।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ১৯১৩]
তবে এই বিধান হাজ্বী সাহেবদের জন্য। নন হাজ্বীদের জন্য নয়। কাজেই আপনি যোহর ও আসর যথাসময়েই পড়বেন।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم