প্রশ্ন
গত রোযায় আমার পরীক্ষা থাকার কারণে রোযা রাখতে কষ্ট হবে মনে করে রমযানের তিনটি রোযা ভেঙ্গে ফেলি। জানতে চাচ্ছি, উক্ত কারণে আমার উপর কাফফারা আবশ্যক হবে কি? হলে কয়টি কাফফারা?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
পরীক্ষা কোনো শরয়ি ওযর নয়। কাজেই পরীক্ষার রোযা ভাঙ্গার ফলে আপনার উপর রোযার কাযার পাশাপাশি কাফফারাও আবশ্যক হয়ে গিয়েছে। তবে এক রমযানে হওয়ার কারণে আপনার উপর একটি কাফফারাই আবশ্যক হবে। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه: أَنَّ رَجُلًا وَقَعَ بِامْرَأَتِهِ فِي رَمَضَانَ، فَاسْتَفْتَى رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ: هَلْ تَجِدُ رَقَبَةً؟، قَالَ: لَا، قَالَ: هَلْ تَسْتَطِيعُ صِيَامَ شَهْرَيْنِ؟، قَالَ: لَا، قَالَ: فَأَطْعِمْ سِتِّينَ مِسْكِينًا
‘আবূ হুরাইরাহ (রা.) হতে বর্ণিত যে, এক লোক রমযানে আপন স্ত্রীর সাথে যৌন সংযোগ করে ফেললো। তারপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে ফতোয়া জানতে চাইল। তখন তিনি জিজ্ঞেস করলেন, একটি গোলাম আযাদ করার সামর্থ্য তোমার আছে কি? সে বলল, না। তিনি বললেন, তাহলে কি দু’মাস সিয়াম পালন করতে পারবে? সে বলল, না। তিনি বললেনঃ তাহলে ষাটজন মিসকীনকে খাদ্য খাওয়াও।’ [সহিহ বুখারি,হাদিস: ৬৮২১]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم