প্রশ্ন
কিছুদিন আগে হাতে ছেঁকা লেগে ফোসকা পড়ে যায়। একদিন অজু করে নামায পড়ার সময় ঘষা লেগে ফোসকার চামড়া উঠে যায়। তখন নতুন করে আর অজু করিনি। জানতে চাচ্ছি, আমার সে দিনের নামায হয়েছিল কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
অজুর অঙ্গগুলো ভালোভাবে ধোয়া জরুরি। হাদিস শরিফে এসেছে-
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ رَجَعْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ مَكَّةَ إِلَى الْمَدِينَةِ حَتَّى إِذَا كُنَّا بِمَاءٍ بِالطَّرِيقِ تَعَجَّلَ قَوْمٌ عِنْدَ الْعَصْرِ فَتَوَضَّئُوا وَهُمْ عِجَالٌ فَانْتَهَيْنَا إِلَيْهِمْ وَأَعْقَابُهُمْ تَلُوحُ لَمْ يَمَسَّهَا الْمَاءُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَيْلٌ لِلأَعْقَابِ مِنَ النَّارِ أَسْبِغُوا الْوُضُوءَ
‘আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন: আমরা রাসূল (সা.) এর সাথে মক্কা থেকে মদিনায় ফিরছিলাম। রাস্তায় যখন পানি পেলাম তখন আসর নামাজ পড়ার জন্য কেউ কেউ দ্রুত এমনভাবে অজু করল যে, তাদের গোড়ালির মধ্যে পানি লাগেনি। সে অংশটুকু জ্বলজ্বল করছিল। এটা দেখে রাসূল (সা.) বললেন: গোড়ালির জন্য আগুনের দুর্ভোগ। তোমরা পরিপূর্ণভাবে অজু কর।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৫৯৩]
তবে ভালোভাবে অজুর পর শরীর থেকে কোনো চামড়া উঠে গেলে পুনরায় অজু করতে হয় না। কাজেই আপনার সেদিনের নামায শুদ্ধ হয়েছিল।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم