প্রশ্ন
পেশাবের পর ঢিলা নেওয়ার পরও পেশাব নির্গত হওয়ার ওয়াসওয়াসা হয়। নামাযে দাঁড়ালে মনে হয় কিছু বের হয়েছে। কিন্তু চেক করে কিছুই পাওয়া যায় না। জানতে চাচ্ছি, এক্ষেত্রে আমার করণীয় কী?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
আপনার করণীয় হল, আপনি ঢিলা নেওয়ার পর সেখানে কিছু পানি ছিটিয়ে দিবেন। পরবর্তীতে আর সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করবেন না। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: شَكَا إِلَيْهِ رَجُلٌ فَقَالَ: إِنِّي أَكُونُ فِي الصَّلَاةِ فَيُخَيَّلُ إِلَيَّ أَنَّ بِذَكَرِي بَلَلًا قَالَ: قَاتَلَ اللَّهُ الشَّيْطَانَ إِنَّهُ يَمَسُّ ذَكَرَ الْإِنْسَانِ فِي صَلَاتِهِ لِيُرِيَهُ أَنَّهُ قَدْ أَحْدَثَ، فَإِذَا تَوَضَّأتَ فَانْضَحْ فَرْجَكَ بِالْمَاءِ، فَإِنْ وَجَدْتَ قُلْتَ: هُوَ مِنَ الْمَاءِ، فَفَعَلَ الرَّجُلُ ذَلِكَ فَذَهَبَ
‘এক ব্যক্তি ইবনে আব্বাস (রা.)-এর কাছে অভিযোগ করল যে, আমি নামাযে থাকাকালে আমার লজ্জাস্থানে আদ্রতা অনুভব করি। ইবনে আব্বাস (রা.) বললেন,আল্লাহ তাআলা শয়তানকে ধ্বংস করুন। নামাযরত অবস্থায় সে মানুষের লজ্জাস্থান স্পর্শ করে যেন মানুষ মনে করে যে, তার অজু ভেঙ্গে গিয়েছে। সুতরাং যখন তুমি অজু করবে তখন লজ্জাস্থানে পানির ছিটা দিবে। যদি আদ্রতা অনুভব হয় তাহলে মনে করবে তা ঐ পানির কারণে হয়েছে। লোকটি এমনটি করল ফলে তার ওয়াসওয়াসা চলে গেল।’ [মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস: ৫৮৩]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم