প্রশ্ন
কিছুদিন আগে মসজিদের দুই তলায় জামাতে শরিক ছিলাম। শেষ রাকাতে ইমাম সাহেব সেজদা থেকে উঠার সময় কারেন্ট চলে যায়। আমরা যারা দুই তলায় ছিলাম, তারা তাশাহুদ, দরূদ ও দোয়ায়ে মাছুরা পাঠ করে সালাম ফিরিয়ে ফেলি। তখন কারেন্ট চলে আসায় দেখি ইমাম মাত্র সালাম ফিরাচ্ছে। জানতে চাচ্ছি, আমাদের নামায কি হয়েছিল?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পরিমাণ বৈঠক করা ওয়াজিব। এর দ্বারা নামায পূর্ণ হয়ে যায়। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُخَيْمِرَةَ، قَالَ: أَخَذَ عَلْقَمَةُ بِيَدِي، فَحَدَّثَنِي أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ، أَخَذَ بِيَدِهِ، وَأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخَذَ بِيَدِ عَبْدِ اللَّهِ، فَعَلَّمَهُ التَّشَهُّدَ فِي الصَّلَاةِ، فَذَكَرَ مِثْلَ دُعَاءِ حَدِيثِ الْأَعْمَشِ: إِذَا قُلْتَ هَذَا أَوْ قَضَيْتَ هَذَا فَقَدْ قَضَيْتَ صَلَاتَكَ، إِنْ شِئْتَ أَنْ تَقُومَ فَقُمْ، وَإِنْ شِئْتَ أَنْ تَقْعُدَ فَاقْعُدْ
‘আল কাসিম ইবনে মুখায়মিরাহ (রহ.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আলকামাহ (রহ.) আমার হাত ধরে বলেন, একবার আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) তার হাত ধরে বললেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) আবদুল্লাহর হাত ধরে নামাজের তাশাহহুদ পাঠ শিখিয়েছেন। অতঃপর তিনি আমাশ (রহ.) সূত্রে বর্ণিত হাদীসে উল্লেখিত দোয়ার অনুরূপ দোয়া শিক্ষা দেন। অতঃপর বললেন, যখন তুমি এ দোয়া পড়বে অথবা পড়া শেষ করবে তখন তোমার নামাজ শেষ হবে। এরপর তুমি উঠে যেতে চাইলে উঠে যাবে নতুবা বসে থাকতে চাইলে বসে থাকবে।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৯৭০]
এমতাবস্থায় মুক্তাদী যদি ইমামের আগে সালাম ফিরিয়ে ফেলে তাহলে নামায নষ্ট না হলেও তার এ কাজটি মাকরূহে তাহরিমি হবে। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ أَنَسٍ قَالَ: صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ يَوْمٍ، فَلَمَّا قَضَى الصَّلَاةَ أَقْبَلَ عَلَيْنَا بِوَجْهِهِ فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي إِمَامُكُمْ فَلَا تَسْبِقُونِي بِالرُّكُوعِ وَلَا بِالسُّجُودِ وَلَا بِالْقِيَامِ وَلَا بِالِانْصِرَافِ
‘আনাস (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের নামাজ আদায় করালেন। তিনি নামাজ শেষ করে আমাদের দিকে মুখ ফিরিয়ে বসে বলেন, হে লোকেরা! আমি তোমাদের ইমাম। অতএব, তোমরা আমার আগে রুকু সাজদায় উঠা-বসা করবে না।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৪২৬]
তবে আপনারা যেহেতু ওযরের কারণে এমনটি করেছেন তাই তা মাকরূহ হবে না।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم