প্রশ্ন
কিছু লোককে দেখা যায়, ইমাম সাহেব যদি সেজদা অবস্থায় থাকনে তাহলে সে কাতারে দাঁড়িয়ে আগে রুকু করে তারপর ইমামের সাথে সেজদায় শরিক হয়। জানতে চাচ্ছি, এটা কি সঠিক পদ্ধতি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
না এটা সঠিক পদ্ধতি নয়। বরং সঠিক পদ্ধতি হল, কেউ জামাতে এসে যদি ইমাম সাহেবকে সেজদায় পায় তাহলে তাকবীরে তাহরিমা বেঁধে সে ইমামের সাথে সেজদায় শরিক হয়ে যাবে। রুকু করবে না। কারণ, জামাতে শরিক হলে ইমামের অনুসরণ করা আবশ্যক হয়ে যায়। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন,
إِذَا أَتَى أَحَدُكُمُ الصَّلاَةَ وَالإِمَامُ عَلَى حَالٍ فَلْيَصْنَعْ كَمَا يَصْنَعُ الإِمَامُ
‘তোমাদের কেউ নামায আদায় করতে এসে ইমামকে কোন এক অবস্থায় পেল। ইমাম যেরূপ করে সেও যেন অনুরূপ করে (তাকে যে অবস্থায় পাবে সেই অবস্থায় তার সাথে নামাযে শরীক হয়ে যাবে।)।’ [সুনানে তিরমিযী, হাদিস: ৫৯১]
নিজে নিজে রুকু করলেও উক্ত রাকাতটি রাকাত হিসেবে গণ্য হবে না। বরং ইমামের নামায শেষ হলে উক্ত রাকাতটি পড়ে নিতে হবে। তবে উক্ত কাজটি খেলাফে সুন্নত হবে। এ জাতীয় কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
আলবাহরুর রায়েক ১/৩১২
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم