প্রশ্ন
কিছুদিন আগে ফজরের সময় ঘুম ভাঙ্গতে দেরি হয়ে যায়। উঠে দেখি সময় একেবারে অল্প। অজু করতে গেলে সময় শেষ হয়ে যাবে। তাই তায়াম্মুম করে ফরজ পড়ে ফেলি। জানতে চাচ্ছি, আমার কাজটি কি সঠিক হয়েছিল?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
নামাযের সময় সংকীর্ণ হলেও পানি থাকা অবস্থায় তায়াম্মুম করা বৈধ হবে না। বরং অজু করেই নামায পড়তে হবে। সেক্ষেত্রে অজু করার পর যদি সময় পাওয়া যায় তাহলে নামায আদায় করবে। অন্যথায় কাযা করবে। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
وَإِنْ كُنْتُمْ مَرْضَى أَوْ عَلَى سَفَرٍ أَوْ جَاءَ أَحَدٌ مِنْكُمْ مِنَ الْغَائِطِ أَوْ لَامَسْتُمُ النِّسَاءَ فَلَمْ تَجِدُوا مَاءً فَتَيَمَّمُوا صَعِيدًا طَيِّبًا فَامْسَحُوا بِوُجُوهِكُمْ وَأَيْدِيكُمْ مِنْهُ
‘আর যদি অসুস্থ হও কিংবা সফরে থাক অথবা যদি তোমাদের কেউ পায়খানা থেকে আসে অথবা তোমরা যদি স্ত্রী সহবাস কর অতঃপর পানি না পাও, তবে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম কর। সুতরাং তোমাদের মুখ ও হাত তা দ্বারা মাসেহ কর।’ [সূরা মায়েদা, আয়াত: ৬]
কাজেই সেদিনের কাজটি সঠিক হয়নি। ঐ দিনের ফজরের নামায আপনাকে কাযা করতে হবে।
রদ্দুল মুহতার ১/২৪৬
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم