প্রশ্ন
বিভিন্ন সময় মসজিদের অজুখানায় টাকা পয়সা পাওয়া যায়। জানতে চাচ্ছি, মালিক না পাওয়া গেলে সেই টাকাগুলো কোনো প্রতিষ্ঠানের দাওয়াতী ফান্ডে দেওয়া যাবে কি? উল্লেখ্য, উক্ত ফান্ডের মাধ্যমে দাঈদেরকে বিভিন্ন স্থানে দাওয়াতের জন্য পাঠানো হয়।
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
শরিয়তে কুড়িয়ে পাওয়া বস্তুর বিধান হল, ভালোভাবে বস্তুটির মালিকের অনুসন্ধান করতে হবে। যদি তাকে না পাওয়া যায় তাহলে মালিক খুঁজে পাওয়া পর্যন্ত নিজের কাছে সংরক্ষণ করে রেখে দিবে। যখন এ ব্যাপারে প্রবল ধারণা হবে যে, মালিক তা আর খুঁজবে না, তখন যাকাত গ্রহণের উপযুক্ত কোনো গরিবকে তা দান করে দিতে হবে। তবে পরবর্তীতে যদি তার মালিককে খুঁজে পাওয়া যায় এবং মালিক তা দাবি করে তাহলে উক্ত ব্যক্তিকে তা ফেরত দিতে হবে। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سُئِلَ عَنِ اللُّقَطَةِ فَقَالَ عَرِّفْهَا سَنَةً فَإِنِ اعْتُرِفَتْ فَأَدِّهَا وَإِلاَّ فَاعْرِفْ وِعَاءَهَا وَعِفَاصَهَا وَوِكَاءَهَا وَعَدَدَهَا ثُمَّ كُلْهَا فَإِذَا جَاءَ صَاحِبُهَا فَأَدِّهَا
‘যায়েদ ইবনে খালিদ আল-জুহানী (রা.) হতে বর্ণিত আছে, কোন হারানো জিনিস প্রাপ্তি প্রসঙ্গে রাসূল (সা.)-কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেন, এক বছর না হওয়া পর্যন্ত এর ঘোষণা দিতে থাক। যদি সনাক্তকারী কোন লোক পাওয়া যায় তাহলে তাকে তা ফিরত দাও। এর ব্যতিক্রম হলে তুমি এর থলে ও থলের বন্ধনী সঠিকভাবে চিনে রাখ এবং এর মধ্যকার জিনিস গণনা করার পর কাজে ব্যবহার কর। তারপর মালিক এসে গেলে এটা তাকে ফিরিয়ে দিও।’ [সুনানে তিরমিযী, হাদিস: ১৩৭৩]
কাজেই তা দাওয়াতী ফান্ডে দেওয়া যাবে না। বরং মালিক না পাওয়া গেলে গরিবদেরকে দান করে দিতে হবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم