প্রশ্ন
আমি কুরআনের যে আয়াতগুলো পারি, ইমাম সাহেব যখন নামাযে তা তেলাওয়াত করবেন আমিও কি তার সাথে সাথে তেলাওয়াত করতে পারব?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
হানাফী মাযহাবে ইমামের পিছনে সূরা ফাতেহা পড়া নিষেধ। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
وَإِذَا قُرِئَ الْقُرْآنُ فَاسْتَمِعُوا لَهُ وَأَنْصِتُوا لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ
‘আর যখন কুরআন পাঠ করা হয়, তখন তা মনোযোগ দিয়ে শোন এবং চুপ থাক, যাতে তোমরা রহমত লাভ কর।’ [সূরা আরাফ, আয়াত: ২০৪]
আয়াত থেকে বুঝা যাচ্ছে, যখন কুরআন তেলাওয়াত করা হবে তখন চুপ করে মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। সুতরাং ইমাম সাহেব যখন কেরাত পড়বেন তখনও চুপ করে মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। তাফসীরের গ্রন্থগুলোতে এমনটিই লেখা হয়েছে। তাফসীরে ইবনে কাসীরে এসেছে,
وَقَالَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَلْحَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَوْلُهُ: {وَإِذَا قُرِئَ الْقُرْآنُ فَاسْتَمِعُوا لَهُ وَأَنْصِتُوا} يَعْنِي: فِي الصَّلَاةِ الْمَفْرُوضَةِ. وَكَذَا رُوِيَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُغَفَّلِ
‘আলী ইবনে আবু তালহা ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি আল্লাহ তাআলার এ বাণী ‘আর যখন কুরআন পাঠ করা হয়, তখন তা মনোযোগ দিয়ে শোন এবং চুপ থাক’ সম্পর্কে বলেন, এখানে ফরজ নামাজের কথা বলা হয়েছে। আব্দুল্লাহ ইবনে মুগাফ্ফাল (রা.) থেকেও এমনটি বর্ণিত।’ [তাফসীরে ইবনে কাসীর ৩/৫৩৭]
কাজেই আপনি ইমামের পিছনে উক্ত আয়াতগুলোও তেলাওয়াত করতে পারবেন না।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم