প্রশ্ন
তাকবীরে উলার ফজিলত কী?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
তাকবীরে উলার সাথে নামায পড়া অনেক ফজিলতপূর্ণ একটি আমল। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন,
مَنْ صَلَّى لِلَّهِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا فِي جَمَاعَةٍ يُدْرِكُ التَّكْبِيرَةَ الأُولَى كُتِبَ لَهُ بَرَاءَتَانِ: بَرَاءَةٌ مِنَ النَّارِ، وَبَرَاءَةٌ مِنَ النِّفَاقِ
‘কোন ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলার সন্তোষ অর্জনের উদ্দেশ্যে একাধারে চল্লিশ দিন তাকবীরে উলার (প্রথম তাকবীর) সাথে জামা’আতে নামায আদায় করতে পারলে তাকে দুটি নাজাতের ছাড়পত্র দেওয়া হয়ঃ জাহান্নাম হতে নাজাত এবং মুনাফিকী হতে মুক্তি।’ [সুনানে তিরমিযি, হাদিস: ২৪১]
বিখ্যাত তাবেয়ী মুজাহিদ (রহ.) বলেন,
سَمِعْتُ رَجُلًا، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: لَا أَعْلَمُهُ إِلَّا مَنْ شَهِدَ بَدْرًا، قَالَ لِابْنِهِ: أَدْرَكْتَ الصَّلَاةَ مَعَنَا؟ قَالَ: «أَدْرَكْتَ التَّكْبِيرَةَ الْأُولَى؟» قَالَ: لَا قَالَ: لَمَا فَاتَكَ مِنْهَا خَيْرٌ مِنْ مِائَةِ نَاقَةٍ، كُلُّهَا سُودُ الْعَيْنِ
‘আমি রাসূল (সা.)-এর একজন বদরি সাহাবিকে বলতে শুনেছি, তিনি তার ছেলেকে জিজ্ঞেস করেছেন, তুমি কি আমাদের সঙ্গে নামাজ পেয়েছ? ছেলে বললেন, জি, পেয়েছি। আবার জিজ্ঞেস করলেন, তাকবীরে উলা তথা ইমামের সঙ্গেই তাকবীর পেয়েছ? ছেলে বললেন, না। তিনি বললেন, তুমি একশ কালো চোখ বিশিষ্ট উটের চেয়ে অধিক কল্যাণ হারিয়েছ।’ [মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস: ২০২১]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم