প্রশ্ন
এক ব্যক্তিকে বলতে শুনলাম, তাহাজ্জুদ নামায নিয়মিত পড়লে তাকে সুন্নত বলা হবে। অন্যথায় তাকে নফল বলা হবে। জানতে চাচ্ছি, এ কথার কোনো ভিত্তি আছে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
ইসলামে নফল নামাজের অনেক ফযিলত রয়েছে। এর মধ্যে তাহাজ্জুদ নামাজের ফযিলত আরও বেশি।
হাদিস শরিফে এসেছে-
عَنْ عَبدِ اللهِ بنِ سَلاَمٍ رضي الله عنه: أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ قَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ: أَفْشُوا السَّلاَمَ، وَأَطْعِمُوا الطَّعَامَ، وَصَلُّوا بِاللَّيْلِ وَالنَّاسُ نِيَامٌ، تَدْخُلُوا الجَنَّةَ بِسَلاَمٍ
আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) হতে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, ‘হে লোক সকল! তোমরা ব্যাপকভাবে সালাম প্রচার কর, (ক্ষুধার্তকে) অন্ন দাও এবং লোকে যখন রাতে ঘুমিয়ে থাকবে তখন নামায পড়। তাহলে তোমরা নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ [সুনানে তিরমিযি, হাদিস: ২৪৮৫]
অন্য হাদিসে এসেছে-
وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ : أَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ رَمَضَانَ: شَهْرُ اللهِ المُحَرَّمُ، وَأَفْضَلُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الفَرِيضَةِ: صَلاَةُ اللَّيْلِ
আবু হোরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রমযান মাসের রোযার পর সর্বোত্তম রোযা হচ্ছে আল্লাহর মাস মুহাররমের রোযা। আর ফরয নামাযের পর সর্বোত্তম নামায হচ্ছে রাতের (তাহাজ্জুদের) নামায।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১১৬৩]
শরিয়তের দৃষ্টিতে তাহজ্জুদ নামাযকে নফল ও সুন্নত উভয়ই বলা যায়। কারণ শরিয়তের দৃষ্টিতে ফরয ও ওয়াজিব ছাড়া বাকি সব নামাই নফলের অন্তর্ভুক্ত। এমনকি এই অর্থের দিকে লক্ষ্য করলে সুন্নত নামাযগুলোও এর অন্তর্ভুক্ত। আবার রাসূল (সা.) নিয়মিত পড়তেন তাই এ নামাযকে সুন্নতও বলা যায়।
তবে আপনি যে কারণ বলেছেন তা সঠিক নয়। কারণ শরিয়তে এ কথার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم