প্রশ্ন
স্বামী রাতের বেলা সহবাস করতে চান। কিন্তু শীতের রাত হওয়ায় শীতের কারণে ফজরের সময় গোসল করা হয় না। ফলে ফজরের নামায ছুটে যায়। আমার স্বামীকে বলেছি ফজরের পরে সহবাস করার জন্য। কিন্তু তিনি রাজি হন না। জানতে চাচ্ছি, আমি কি স্বামীর ডাকে সাড়া দিয়ে ফজর কাযা করব নাকি ফজয ঠিক রাখবো?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
ফরয নামায সময়মত আদায় করা ফরয। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
إِنَّ الصَّلَاةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتَابًا مَوْقُوتًا
‘নিশ্চয় সালাত মুমিনদের উপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরয।’ [সূরা নিসা, আয়াত: ১০৩]
অপর দিকে স্বামীর বৈধ নির্দেশ পালন করাও আবশ্যক। হাদিস শরিফে এসেছে,
إِذَا صَلَّتِ الْمَرْأَةُ خَمْسَهَا، وَصَامَتْ شَهْرَهَا، وَحَفِظَتْ فَرْجَهَا، وَأَطَاعَتْ زَوْجَهَا، قِيلَ لَهَا: ادْخُلِي الْجَنَّةَ مِنْ أَيِّ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ شِئْتِ
‘মহিলা যখন তার পাঁচ ওয়াক্তের নামায আদায় করে, তার রমযান মাসের রোযা পালন করে, (অবৈধ যৌনাচার থেকে) তার যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে এবং তার স্বামীর কথা ও আদেশমত চলে, তখন তাকে বলা হয়, জান্নাতের যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা তুমি সেই দরজা দিয়েই জান্নাতে প্রবেশ কর।’ [মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ১৬৬১]
কাজেই একটি পালন করতে গিয়ে আরেকটি ত্যাগ করা বৈধ হবে না। এক্ষেত্রে আপনি সহবাসের পরপর গোসল সেড়ে নিবেন। প্রয়োজন হলে গরম পানি করে নিবেন। তারপরও সামান্য অজুহাতে নামায কাযা করা যাবে না।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم