প্রশ্ন
কোনো ইমাম যদি ধূমপান করে তাহলে তার পিছনে নামায পড়া যাবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
শরিয়তের দৃষ্টিতে সম্পদ নষ্ট করা হারাম। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
﴿وَكُلُوا وَاشْرَبُوا وَلَا تُسْرِفُوا إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الْمُسْرِفِينَ﴾
‘আর খাও, পান কর ও অপচয় করো না। নিশ্চয় তিনি অপচয়কারীদেরকে পছন্দ করেন না।’ [সূরা আরাফ, আয়াত: ৩১]
হাদিস শরিফে এসেছে,
وَكَانَ يَنْهَى عَنْ قِيلَ وَقَالَ، وَكَثْرَةِ السُّؤَالِ، وَإِضَاعَةِ الْمَالِ
‘আর রাসূল (সা.) নিষেধ করতেন অনর্থক কথা নিয়ে বাদানুবাদ করা হতে, অধিক প্রশ্ন করা হতে, মালের অপচয় করা হতে।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬৪৭৩]
ধূমপান করলে শারীরিক ক্ষতির পাশাপাশি অর্থ সম্পদ নষ্ট হয়, এ ব্যাপারে পৃথিবীর সকল মত ও পথের মানুষ একমত। এ মূলনীতির আলোকেই ফুকাহায়ে কেরামগণ ধূমপানকে নিষিদ্ধ সাব্যস্থ করেছেন। তাছাড়া কোন প্রকার গন্ধ নিয়ে নামায পড়াও মাকরূহ।
সুতরাং ধূমপায়ী ব্যক্তি ফাসেক। আর ফাসেক ব্যক্তির পিছনে নামায পড়া মাকরূহ। তবে পড়লে হয়ে যাবে। ভালো ইমাম যদি থাকে তাহলে এমন ইমামের পিছনে নামায পড়বে না।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم