প্রশ্ন
আমি দোয়ায়ে কুনুত পারি না। তাই বেতেরের নামাযে দোয়ায়ে কুনুতের পরিবর্তে সূরা ইখলাস পাঠ করি। জানতে চাচ্ছি, আমার বেতেরের নামায সহিহ হবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
বেতেরের নামাযে দোয়ায়ে কুনুত পাঠ করা ওয়াজিব। উত্তম হল বিতরের নামাজে হাদিসে বর্ণিত দোয়ায়ে কুনুতটি পাঠ করা। কিন্তু কেউ যদি উক্ত দোয়াটির পরিবর্তে অন্য কোনো দোয়া পাঠ করতে চায় তাহলে সেটিরও সুযোগ রয়েছে। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: لَيْسَ فِي قُنُوتِ الْوِتْرِ شَيْءٌ مُؤقَّتٌ، إِنَّمَا هُوَ دُعَاءٌ وَاسْتِغْفَارٌ
‘ইবরাহীম নাখায়ি (রহ.) বলেন: কুনুতে নির্দিষ্ট কোন দোয়া নেই। কুনুত হল দোয়া ও ইস্তেগফার।’ [মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদিস: ৬৯৬৬]
ইমাম নববি (রহ.) বলেন,
واعلم أن القنوت لا يتعين فيه دعاء على المذهب المختار، فأيّ دعاء دعا به حصل القنوت ولو قَنَتَ بآيةٍ، أو آياتٍ من القرآن العزيز وهي مشتملة على الدعاء حصل القنوت، ولكن الأفضل ما جاءت به السنّة
‘জেনে রাখো, প্রসিদ্ধ মাযহাব অনুযায়ী কুনুতের জন্য নির্ধারিত কোনো দোয়া নেই। যেকোনো দোয়া পাঠ করলেই কুনুতের উদ্দেশ্য হাসিল হয়ে যাবে। এমনকি দোয়া সম্বলিত কুরআনের এক বা একাধিক আয়াতও যদি পাঠ করা হয় তাহলেও কুনুতের উদ্দেশ্য হাসিল হয়ে যাবে। তবে উত্তম হল, হাদিসে যেটি বর্ণিত হয়েছে সেটি।’ [আল আযকার পৃ. ৬১]
কুরআন বা হাদিসে যে সকল দোয়া রয়েছে সেগুলো পাঠ করলেও কুনুত আদায় হয়ে যাবে। কিন্তু সূরা ইখলাস কোনো দোয়া নয়। কাজেই তা পাঠ করা যাবে না। কেউ যদি তা পাঠ করে তাহলে কুনুত পাঠের ওয়াজিব আদায় হবে না। এক্ষেত্রে নামায শেষে সাহু সেজদা দেওয়া আবশ্যক। সাহু সেজদা না করা হলে বেতেরের নামায সহিহ হবে না।
রদ্দুল মুহতার ২/৭; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৭০
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم