প্রশ্ন
বাংলাদেশে কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে যেগুলো খৃস্টান কর্তৃক পরিচালিত। সেগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক পোশাকে ক্রুশের চিহ্ন বিদ্যমান। জানতে চাচ্ছি, এমন পোশাক পরিধান করে কলেজে যাওয়া যাবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
পরকালে নাজাত পাওয়ার পূর্বশর্ত হল, ঈমান আনতে হবে খাঁটি। কুফরী মিশ্রিত ঈমান আল্লাহর কাছে গ্রহণীয় হবে না। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا ادْخُلُوا فِي السِّلْمِ كَافَّةً وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِينٌ
‘হে মুমিনগণ, তোমরা ইসলামে পূর্ণরূপে প্রবেশ কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না । নিশ্চয় সে তোমাদের জন্য স্পষ্ট শত্রু।’ [সূরা বাকারা, আয়াত: ২০৮]
কাজেই একজন মুমিন ব্যক্তির জন্য এমন কোনো কাজ করা যাবে না যাতে তার ঈমানের কোনো ক্ষতি হয়।
উক্ত বক্তব্যের আলোকে বলা যায় যে, সে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়লে যদি ঈমান ও আমলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং শরিয়ত বিরোধী কোনো কাজে লিপ্ত হওয়া লাগে কিংবা শরিয়ত বিরোধী কোনো পোশাক পরিধান করা লাগে তাহলে এ জাতীয় প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া বা পড়া লেখা করা যাবে না।
আর যদি এ জাতীয় কোনো সমস্যা না থাকে তাহলে এই সকল প্রতিষ্ঠানে পড়তে কোনো সমস্যা নেই। তবে তাকওয়ার দাবি হল এসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এড়িয়ে চলা।
তবে কোনো অবস্থাতেই ক্রুশযুক্ত পোশাক পরিধান করা যাবে না। কারণ ক্রুশ খৃস্টানদের ধর্মীয় চিহ্ন। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,
مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
‘যে ব্যক্তি যার সাদৃশ্য গ্রহণ করে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৪০৩১]
কাজেই এ জাতীয় পোশাক পরিধান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم