প্রশ্ন
আমার দাদার উপর গজ্ব ফরয হয়েছিল। কিন্তু তিনি ব্যস্ততার দরূন হজ্বে যেতে পারেননি। বর্তমানে তার কাছে হজ্বে যাওয়ার মত অর্থ সম্পদ নেই। একটি জমি আছে যা দিয়ে তিনি অনেক কষ্টে নিজের ও পরিবারের ব্যয় নির্বাহ করেন। জানতে চাচ্ছি, তার ফরয হজ্ব কি মাফ হয়ে যাবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
একবার হজ্ব ফরয হলে তা আর রহিত হয় না। আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদে ইরশাদ করেন-
وَ لِلهِ عَلَی النَّاسِ حِجُّ الْبَیْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ اِلَیْهِ سَبِیْلًا وَ مَنْ كَفَرَ فَاِنَّ اللهَ غَنِیٌّ عَنِ الْعٰلمِیْنَ.
‘মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে ঐ গৃহের হজ্ব করা তার জন্য অবশ্যকর্তব্য। আর যে এই নির্দেশ পালন করতে অস্বীকার করবে তার জেনে রাখা উচিত যে, আল্লাহ দুনিয়াবাসীদের প্রতি সামান্যও মুখাপেক্ষী নন।’ [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৯৭]
রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন-
تَعَجّلُوا إِلَى الْحَجِّ يَعْنِي الْفَرِيضَةَ فَإِنّ أَحَدَكُمْ لَا يَدْرِي مَا يَعْرِضُ لَهُ.
‘তোমরা দ্রুততর সময়ের মধ্যে ফরয হজ্ব আদায় কর। কেননা তোমাদের কেউই একথা জানে না যে, আগামীতে তার ভাগ্যে কী আছে।’ [মুসনাদে আহমাদ, হাদিস ২৮৬৭]
ওমর (রা.) বলেন-
من أطاق الحج فلم يحج، فسواء عليه يهوديا مات أو نصرانيا
‘যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও হজ্ব করল না তার ইহুদী হয়ে মৃত্যুবরণ করা আর খ্রিস্টান হয়ে মৃত্যুবরণ করা সমান কথা।’ [তাফসীরে ইবনে কাসীর ২/৮৪ (সূরা আলে ইমরান ৯৭ নং আয়াতের অধীনে]
কাজেই আপনার দাদার উপর উক্ত হজ্ব ঋণ হিসেবে থেকে গিয়েছে। যেকোনো ভাবে হোক উক্ত হজ্ব তার আদায় করতে হবে। কিংবা মৃত্যুর সময় তার পরিত্যক্ত সম্পত্তি থেকে বদলী হজ্ব করানোর অসিয়ত করে যেতে হবে।
আলবাহরুর রায়েক ২/৩১৪
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم