প্রশ্ন
আমি ভ্রুপ্লাক করতাম। তখন আমার দ্বীনের বুঝ ছিল না। এখন আমার দ্বীনের বুঝ এসেছে। পাশাপাশি আমি প্রেগনেন্ট। জানতে চাচ্ছি, উক্ত গুনাহের প্রভাব কি অনাগত সন্তানের উপর পড়বে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
ভ্রুপ্লাক করা শরিয়তের দৃষ্টিতে হারাম। হাদিস শরিফে এ ব্যাপারে লানত এসেছে।
‘আবদুল্লাহ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ্ লা’নাত করেছেন ঐ সমস্ত নারীর প্রতি যারা অন্যের শরীরে উল্কি অংকন করে, নিজ শরীরে উল্কি অংকণ করায়, যারা সৌন্দর্যের জন্য ভ্রূ-চুল উপড়িয়ে ফেলে ও দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করে। সে সব নারী আল্লাহর সৃষ্টিতে বিকৃতি আনয়ন করে।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৪৮৮৬]
তবে গুনাহ যতই বড় হোক খাঁটি মনে তওবা করলে আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করে দিবেন। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
إِنَّمَا التَّوْبَةُ عَلَى اللَّهِ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السُّوءَ بِجَهَالَةٍ ثُمَّ يَتُوبُونَ مِنْ قَرِيبٍ فَأُولَئِكَ يَتُوبُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ
‘নিশ্চয় তাওবা কবুল করা আল্লাহর জিম্মায় তাদের জন্য, যারা অজ্ঞতাবশত মন্দ কাজ করে। তারপর শীঘ্রই তাওবা করে। অতঃপর আল্লাহ এদের তাওবা কবুল করবেন।’ [সূরা নিসা, আয়াত: ১৭]
কাজেই আপনি যদি খাঁটি মনে তওবা করে থাকেন তাহলে আল্লাহ তাআলা আপনার গুনাহ মাফ করে দিবেন। আর গুনাহ মাফ হলে তার কোনো প্রভাব আর বাকি থাকে না। সুতরাং সন্তানের উপর তার প্রভাব পড়ার প্রশ্নই উঠে না।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم