প্রশ্ন
হিজরাদেরকে বিয়ে করা কি শরিয়ত সম্মত?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
ইসলামি শরিয়তে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য স্বতন্ত্র কোনো বিধান দেওয়া হয়নি। বরং ইসলামি শরিয়ত তাদেরকে নারী বা পুরুষের কাতারে ফেলে সে অনুযায়ী বিধান আরোপ করেছে। সুতরাং তাদের জন্য শরিয়ত বিয়ের বিধানও রেখেছে। তবে যেহেতু তাদের মাঝে নারী ও পুরুষ উভয়ের বিশেষ অঙ্গ বিদ্যমান রয়েছে, তাই দেখতে হবে কোন অঙ্গ দিয়ে তারা পেশাব করে। যদি নারী অঙ্গ দিয়ে করে তাহলে তাকে নারী ধরে সে হিসেবে শরিয়তের বিধান আরোপ করা হবে এবং সে যেকোনো পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে। আর যদি পুরুষাঙ্গ দিয়ে পেশাব করে তাহলে তাকে পুরুষ ধরে সে হিসেবে শরিয়তের বিধান আরোপ করা হবে এবং যেকোনো নারীকে সে বিয়ে করতে পারবে। হাদিস শরিফে এসেছে,
أَنَ عَلِيًّا رَضِيَ اللهُ عَنْهُ سُئِلَ عَنِ الْمَوْلُودِ لَا يُدْرَى أَرَجُلٌ أَمِ امْرَأَةٌ، فَقَالَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: يُوَرَّثُ مِنْ حَيْثُ يَبُولُ
‘আলী (রা.)-কে হিজড়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, যেভাবে সে পেশাব করে (অর্থাৎ, নারী অঙ্গ দিয়ে পেশাব করলে নারী হিসেবে গণ্য হবে। আর পুরুষাঙ্গ দিয়ে করলে পুরুষ হিসেবে গণ্য হবে।) সেই হিসেবে মিরাস পাবে।’ [সুনানে কুবরা, বায়হাকী, হাদিস: ১২৫১৪]
তবে কোনো তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ যদি এমন পাওয়া যায় যে, তারা নারী না পুরুষ, তা নির্ণয় করা সম্ভব হয় না, তাহলে এমন ব্যক্তি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে না। কারণ সে নারী না পুরুষ, এ বিষয়টি নির্ণয় না করা গেলে তার বিয়ে কোনো নারীর সাথে হবে নাকি কোনো পুরুষের সাথে হবে, তা নির্ণয় করা যাবে না।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم