প্রশ্ন
আমার স্বামী পিতা মাতার একমাত্র সন্তান। অতি আদরের কারণে তার পিতা মাতা তাকে চাকরি করতে নিষেধ করেন। তিনি তাদের কথামত কোনো চাকরি বাকরি করেন না। যার ফলে আমার ভরণ পোষণও আদায় করতে পারেন না। জানতে চাচ্ছি, আমার স্বামীর জন্য পিতা মাতা কর্তৃক চাকরি না করার আদেশ মান্য করা কি জরুরি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
পিতা মাতার বৈধ আদেশ মান্য করা সন্তানের উপর আবশ্যক। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন,
وَوَصَّيْنَا الْإِنْسَانَ بِوَالِدَيْهِ حُسْنًا وَإِنْ جَاهَدَاكَ لِتُشْرِكَ بِي مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ فَلَا تُطِعْهُمَا إِلَيَّ مَرْجِعُكُمْ فَأُنَبِّئُكُمْ بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُونَ
‘আর আমি মানুষকে নির্দেশ দিয়েছি তার পিতা-মাতার সাথে সদাচরণ করতে। তবে যদি তারা তোমার উপর প্রচেষ্টা চালায় আমার সাথে এমন কিছুকে শরীক করতে যার সম্পর্কে তোমার কোনো জ্ঞান নেই, তাহলে তুমি তাদের আনুগত্য করবে না। আমার দিকেই তোমাদের প্রত্যাবর্তন। অতঃপর তোমরা যা করতে আমি তা তোমাদেরকে জানিয়ে দেব।’ [সূরা আনকাবুত, আয়াত: ৮]
তবে আপনার স্বামী আপনার যথাযথ ভরণ পোষণ না দিয়ে আপনার প্রতি জুলুম করছেন। কারণ স্ত্রীর ভরণ পোষণ দেওয়ায় স্বামীর উপর আবশ্যক। কুরআন মাজিদে আল্লাহ তাআলা বলেন-
لِيُنْفِقْ ذُو سَعَةٍ مِنْ سَعَتِهِ وَمَنْ قُدِرَ عَلَيْهِ رِزْقُهُ فَلْيُنْفِقْ مِمَّا آتَاهُ اللَّهُ
‘বিত্তশালী ব্যক্তি নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যয় করবে। আর যার রিজক সীমিত সে আল্লাহ যা দিয়েছেন তা থেকে ব্যয় করবে।’ [সূরা তালাক, আয়াত: ৭]
কাজেই আপনার স্বামী পিতা মাতার কথা শুনে যদি চাকরি বাকরি নাও করেন তাহলেও আপনার ভরণ পোষণের ব্যবস্থা করা তার উপর কর্তব্য। বিষয়টি তাকে অবগত করবেন। আল্লাহ তাআলা সবকিছু আসান করে দিবেন।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
