প্রশ্ন
আমি মাগরিবের নামাযের সময় অজু করেছিলাম। এশার নামাযের আগে আমার সন্দেহ হয়ে যায় যে, আমার অজু ভেঙ্গে গিয়েছে কিনা। কারণ আমি টয়লেটেও যাইনি। আমার আমার জানা মতে বায়ুও বের হয়নি। জানতে চাচ্ছি, এমতাবস্থায় আমার করণীয় কী ছিল? নতুন করে অজু করা নাকি সেই সন্দেহযুক্ত অজু দিয়েই এশা পড়া?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
অজু করা হয়েছে- এ বিষয়টি যদি সুনিশ্চিত হয়, কিন্তু সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে যে, এখন অজুটি বিদ্যমান আছে কিনা, তাহলে ধরে নেওয়া হবে অজু আছে। যেহেতু আপনি অজু করেছিলেন- বিষয়টি সুনিশ্চিত ছিল, তাই ধরে নেওয়া হবে আপনার অজু ছিল। সুতরাং আপনি ঐ অজু দিয়ে এশার নামায পড়তে পারতেন। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ عَمِّهِ : أَنَّهُ شَكَا إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الرَّجُلُ الَّذِي يُخَيَّلُ إِلَيْهِ أَنَّهُ يَجِدُ الشَّيْءَ فِي الصَّلَاةِ. فَقَالَ: لَا يَنْفَتِلْ أَوْ: لَا يَنْصَرِفْ حَتَّى يَسْمَعَ صَوْتًا أَوْ يَجِدَ رِيحًا
‘আব্বাদ ইবনে তামীম (রহ.)-এর চাচা হতে বর্ণিত। একদা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এক ব্যক্তি সম্পর্কে বলা হল যে, তার মনে হয়েছিল যেন নামাযের মধ্যে কিছু হয়ে গিয়েছিল। তিনি বললেন, সে যেন ফিরে না যায়, যতক্ষণ না শব্দ শোনে বা দুর্গন্ধ পায়।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৩৭]
কিন্তু কারো যদি অজু করেছে কিনা এ ব্যাপারে সন্দেহ সৃষ্টি হয় তাহলে তখন ধরে নেওয়া হবে তার অজু নেই। সেক্ষেত্রে তাকে নতুন করে অজু করে নিতে হবে।
রদ্দুল মুহতার ১/২৮৩
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم