প্রশ্ন
বর্তমানে কিছু বক্তাকে দেখা যায়, তারা শ্রোতাদের সামনে কৃত্রিম ও মেকি সুরে কথা বলে থাকেন। জানতে চাচ্ছি, এভাবে কথা বলা কতটুকু বৈধ?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
যারা ওয়াজ মাহফিলে বয়ান করেন তারা হলেন দ্বীনের দাঈ। তাদের স্বভাব হবে নরম। মানুষকে নম্র ভাষায় দ্বীনের দাওয়াত দিবেন। আল্লাহ তাআলা যখন মূসা (আ.) ও হারূন (আ.)-কে ফেরআউনের কাছে পাঠিয়েছিলেন, তখন তাদেরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন নম্র ভাষায় ফেরআউনকে বুঝাতে। অথচ আল্লাহ তাআলা জানতে যে, ফেরআউন ঈমান আনবে না। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
‘তোমরা তার সাথে নরম কথা বলবে। হয়তোবা সে উপদেশ গ্রহণ করবে অথবা ভয় করবে।’ [সূরা ত্বহা, আয়াত: ৪৪]
রাসূল (সা.)-ও দাওয়াতের ক্ষেত্রে নম্রতা অবলম্বন করেছিলেন। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
‘অতঃপর আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমতের কারণে তুমি তাদের জন্য নম্র হয়েছিলে। আর যদি তুমি কঠোর স্বভাবের, কঠিন হৃদয়সম্পন্ন হতে, তবে তারা তোমার আশপাশ থেকে সরে পড়ত।’ [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৫৯]
আরেক আয়াতে আল্লাহ তাআলা মানুষকে দ্বীনের পথে আহবান করার পদ্ধতি সম্পর্কে নির্দেশ দিয়ে বলেছেন,
‘তুমি তোমরা রবের পথে হিকমত ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে আহবান কর এবং সুন্দরতম পন্থায় তাদের সাথে বিতর্ক কর।’ [সূরা নাহল, আয়াত: ১২৫]
তবে নম্রতার অর্থ এই নয় যে, শ্রোতাদের সামনে কৃত্রিম ও মেকি সুরে কথা বলবে। কারণ এভাবে কথা বলতে রাসূল (সা.) নিষেধ করেছেন। হাদিস শরিফে এসেছে,
‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বাগাড়ম্বরকারীরা ধ্বংস হোক। এ কথা তিনি তিনবার বলেছেন।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৬৭০]
কাজেই শ্রোতাদের সামনে শুদ্ধ ও সুস্পষ্ট ভাষায় কথা বলতে হবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم