প্রশ্ন
বিয়ে বহির্ভুত প্রেম কেন হারাম?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
বিয়ে বহির্ভুত প্রেম হারাম ও নাজায়েয। কারণ তা অনেক হারাম কাজে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে থাকে। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ الْمُؤْمِنَاتِ وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ مِنْ قَبْلِكُمْ إِذَا آتَيْتُمُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ مُحْصِنِينَ غَيْرَ مُسَافِحِينَ وَلَا مُتَّخِذِي أَخْدَانٍ
‘আর সতী সাধ্বী মুসলিম নারীরাও এবং তোমাদের পূর্ববর্তী আহলে কিতাবের মধ্যকার সতী-সাধ্বী নারীরাও (তোমাদের জন্য হালাল), যখন তোমরা তাদেরকে তাদের বিনিময় (মোহর) প্রদান কর, এ রূপে যে, তোমরা (তাদেরকে) পত্নী রূপে গ্রহণ করে নাও, না প্রকাশ্যে ব্যভিচার কর, আর না গোপন প্রণয় কর।’ [সূরা মায়েদা, আয়াত: ৫]
এই অবৈধ প্রেম মানুষকে যিনায় উদ্বুদ্ধ করে থাকে। রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,
‘নিঃসন্দেহে দু’চোখের ব্যভিচার হলো তাকানো, দু’কানের ব্যভিচার হলো শোনা, জিহ্বার ব্যভিচার হলো কথোপকথন করা, হাতের ব্যভিচার হলো শক্ত করে ধরা, পায়ের ব্যভিচার হলো হেঁটে যাওয়া, হৃদয়ের ব্যভিচার হচ্ছে কামনা-বাসনা করা। আর লজ্জাস্থান তা সত্যায়িত করে বা মিথ্যা সাব্যস্ত করে।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৬৫৭]
কাজেই বিয়ের আগে প্রেম করা শরিয়তের দৃষ্টিতে অবৈধ ও নাজায়েয।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم