প্রশ্ন
কিছু লোক বলে থাকে, কুরআনে যে সকল সাহাবীর জান্নাতি হওয়ার কথা বলা হয়নি সে সকল সাহাবীকে নিশ্চিত জান্নাতি বলা যাবে না। সে দৃষ্টিকোণ থেকে আয়েশা (রা.)-কে কি জান্নাতি বলা যাবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
আয়েশা (রা.) নিশ্চিত জান্নাতি। কুরআন হাদিস দ্বারা বিষয়টি প্রমাণিত। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
‘সচ্চরিত্রা নারী সচ্চরিত্র পুরুষের জন্য এবং সচ্চরিত্র পুরুষ সচ্চরিত্রা নারীর জন্য। লোকে যা বলে এরা তা থেকে পবিত্র; এদের জন্য রয়েছে ক্ষমা এবং সম্মানজনক জীবিকা।’ [সূরা নূর, আয়াত: ২৬]
আয়াতে সম্মানজনক জীবিকা দ্বারা উদ্দেশ্য জান্নাত। আল্লামা ইবনে কাসীর (রহ.) তার তাফসীর গ্রন্থে লিখেন,
‘সম্মানজনক জীবিকা দ্বারা উদ্দেশ্য হল চিরস্থায়ী জান্নাত। উক্ত আয়াত থেকে বুঝা যায়, আয়েশা (রা) জান্নাতে রাসূল (সা.)-এর স্ত্রী হিসেবে থাকবেন।’ [তাফসীরে ইবনে কাসীর ৬/৩৩]
তাছাড়া হাদিসে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন,
‘আয়েশা জান্নাতে আমার স্ত্রী হিসেবে থাকবে।’ [জামিউল আহাদিস, হাদিস: ১৪০২৮]
কাজেই আয়েশা (রা.)-কে জান্নাতি বলতে কোনো সমস্যা নেই।
উল্লেখ্য, আল্লাহ তাআলা কুরআনে সকল সাহাবীকে তাঁর সন্তোষভাজন বলেছেন। কাজেই তাদেরকে জান্নাতি বলাতে কোনো সমস্যা নেই।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم