প্রশ্ন
আমার ছেলে হয়েছে। তার নাম রাখতে চাচ্ছি মুতাকাব্বির। প্রশ্ন হল, উক্ত নামে কোনো সমস্যা আছে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
মুতাকাব্বির একটি আরবী শব্দ। যার অর্থ হল, অহংকারী। ইসলামি শরিয়তে অহংকার একটি মন্দ গুণ। তাছাড়া রাসূল (সা.) সুন্দর ও অর্থবহ নাম রাখতে উৎসাহিত করেছেন। হাদিস শরিফে পাওয়া যায় যে, কোনো সাহাবীর নাম যদি মন্দ অর্থবহ হত, তাহলে রাসূল (সা.) তাদের নাম পরিবর্তন করে সুন্দর নাম রেখে দিতেন। হাদিস শরিফে এসেছে,
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، أَنَّ ابْنَ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَهُمْ قَالَ أَخْبَرَنِي عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ شَيْبَةَ، قَالَ جَلَسْتُ إِلَى سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ فَحَدَّثَنِي أَنَّ جَدَّهُ حَزْنًا قَدِمَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم. فَقَالَ ” مَا اسْمُكَ ”. قَالَ اسْمِي حَزْنٌ. قَالَ ” بَلْ أَنْتَ سَهْلٌ ”. قَالَ مَا أَنَا بِمُغَيِّرٍ اسْمًا سَمَّانِيهِ أَبِي. قَالَ ابْنُ الْمُسَيَّبِ فَمَا زَالَتْ فِينَا الْحُزُونَةُ بَعْدُ
‘সাঈদ ইবনে মুসাইয়্যাব (রহ.) হতে বর্ণিত। একবার তাঁর দাদা রাসূল (সা.)-এর কাছে আসলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমার নাম কী? তিনি উত্তর দিলেন, আমার নাম হাযন (হাযন অর্থ শক্তভূমি)। তিনি বললেন, না বরং তোমার নাম ‘সাহল’ (সাহল অর্থ, নরম জমিন)। তিনি বললেন, আমার পিতা আমার যে নাম রেখে গিয়েছেন, তা আমি পাল্টাতে চাই না। ইবনে মুসাইয়্যাব বলেন, ফলে এরপর থেকে আমাদের বংশে দুঃখ কষ্টই লেগে আছে।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬১৯৩]
সুতরাং আপনি আপনার সন্তানের নাম মুতাকাব্বির রাখতে পারবেন না। এক্ষেত্রে হাদিসে বর্ণিত উত্তম নামগুলো রাখতে পারেন। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,
تَسَمَّوْا بِأَسْمَاءِ الْأَنْبِيَاءِ، وَأَحَبُّ الْأَسْمَاءِ إِلَى اللَّهِ عَبْدُ اللَّهِ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ، وَأَصْدَقُهَا حَارِثٌ، وَهَمَّامٌ، وَأَقْبَحُهَا حَرْبٌ وَمُرَّةُ
‘তোমরা নবী-রাসূলগণের নামে নামকরণ করো। আল্লাহর নিকট সবচেয়ে পছন্দনীয় নাম হলো আব্দুল্লাহ ও আব্দুর রাহমান। নামের মাঝে হারিস ও হাম্মাম হলো বিশ্বস্ত নাম এবং হারব ও মুররাহ হলো সবচেয়ে নিকৃষ্ট নাম।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৪৯৫০]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم