প্রশ্ন
আমি এক নারীর সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়েছিলাম। এখন আমার ভুল বুঝতে পেরেছি। জানতে চাচ্ছি, আমি যদি তওবা করি তাহলে পরকীয়ার গুনাহ মাফ হবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
পরকীয়া হারাম ও মারাত্মক পর্যায়ের কবীরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেন,
لَا يَزْنِي الزَّانِي حِينَ يَزْنِي وَهُوَ مُؤْمِنٌ، وَلَا يَشْرَبُ الْخَمْرَ حِينَ يَشْرَبُ وَهُوَ مُؤْمِنٌ، وَلَا يَسْرِقُ حِينَ يَسْرِقُ وَهُوَ مُؤْمِنٌ، وَلَا يَنْتَهِبُ نُهْبَةً، يَرْفَعُ النَّاسُ إِلَيْهِ فِيهَا أَبْصَارَهُمْ، حِينَ يَنْتَهِبُهَا وَهُوَ مُؤْمِنٌ
‘কোন ব্যভিচারী মুমিন অবস্থায় ব্যভিচার করে না এবং কোন মদ্যপায়ী মুমিন অবস্থায় মদ পান করে না। কোন চোর মুমিন অবস্থায় চুরি করে না। কোন লুটতরাজকারী মুমিন অবস্থায় এরূপ লুটতরাজ করে না যে, যখন সে লুটতরাজ করে তখন তার প্রতি লোকজন চোখ তুলে তাকিয়ে থাকে।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৪৭৫]
তবে গুনাহ যতই বড় হোক খাঁটি মনে তওবা করলে আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করে দিবেন। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
إِنَّمَا التَّوْبَةُ عَلَى اللَّهِ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السُّوءَ بِجَهَالَةٍ ثُمَّ يَتُوبُونَ مِنْ قَرِيبٍ فَأُولَئِكَ يَتُوبُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ
‘নিশ্চয় তাওবা কবুল করা আল্লাহর জিম্মায় তাদের জন্য, যারা অজ্ঞতাবশত মন্দ কাজ করে। তারপর শীঘ্রই তাওবা করে। অতঃপর আল্লাহ এদের তাওবা কবুল করবেন।’ [সূরা নিসা, আয়াত: ১৭]
তবে তওবা করার কিছু শর্ত আছে। ইমাম নববি (রহ.) বলেন,
১। পাপ কাজ সম্পূর্ণরূপে বর্জণ করতে হবে।
২। পাপ কাজে লিপ্ত হওয়ায় অনুতপ্ত ও লজ্জিত হতে হবে।
৩। ঐ পাপ কাজ আগামীতে পূণর্বার না করার দৃঢ়সংকল্প থাকতে হবে। [রিয়াজুস সালেহিন পৃ: ৩৩]
কাজেই উপরোক্ত শর্ত রক্ষা করে তওবা করতে হবে। তাহলে আশা করা যায়, আল্লাহ তাআলা তওবা কবুল করবেন।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم