প্রশ্ন
আমি শুনেছি যে, কারো নামে মিথ্যা কসম করলে যার নামে কসম করা হয় তার ক্ষতি হয়। জানতে চাচ্ছি, এর কোনো ভিত্তি আছে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
আল্লাহর নাম ছাড়া অন্যের নামে কসম করা বৈধ নয়। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما أَنَّهُ أَدْرَكَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فِي رَكْبٍ وَهْوَ يَحْلِفُ بِأَبِيهِ، فَنَادَاهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَلاَ إِنَّ اللَّهَ يَنْهَاكُمْ أَنْ تَحْلِفُوا بِآبَائِكُمْ، فَمَنْ كَانَ حَالِفًا فَلْيَحْلِفْ بِاللَّهِ، وَإِلاَّ فَلْيَصْمُتْ
‘ইবনে উমর (রা.) হতে বর্ণিত যে, তিনি উমর ইবনে খাত্তাব (রা.)-কে একদিন আরোহীর মাঝে এমন সময় পেলেন, যখন তিনি তাঁর পিতার নামে শপথ করছিলেন। তখন রাসূল (সা.) উচ্চস্বরে তাদের বললেন, জেনে রাখ! আল্লাহ তোমাদের নিজের পিতার নামে শপথ করতে নিষেধ করেছেন। যদি কাউকে শপথ করতেই হয়, তবে সে যেন আল্লাহর নামেই শপথ করে, তা না হলে সে যেন চুপ থাকে।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬১০৮]
পাশাপাশি মিথ্যা কসম করাও অত্যন্ত বড় গুনাহের কাজ। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেন-
‘আল্লাহর সাথে শিরক করা, মাতাপিতার কথা অমান্য করা, হত্যা করা ও মিথ্যা কসম করা কবীরা গুনাহ।’ [সহিহ বুখারি ২/৯৮৭]
তবে কারো নামে মিথ্যা কসম করলে তার ক্ষতি হয় এ কথার কোনো ভিত্তি নেই। তাই বলে অন্যের নামে কসম করা বৈধ হয়ে যাবে না।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم