প্রশ্ন
যে ঘরে কুরআন থাকে সে ঘরে হস্তমৈথুন করলে ঈমানের কোনো ক্ষতি হবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
হস্তমৈথুন করা মারাত্মক পর্যায়ের কবীরা গুনাহ। কেয়ামতের দিন হস্তমৈথুনকারীর কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে।
হাদিস শরিফে এসেছে,
عنعبد الله بن عمرو بن العاص عن النبي صلى الله عليه وسلم سبعة لا ينظر الله عز وجل إليهم يوم القيامة ولا يزكيهم ويقول : ادخلوا النار مع الداخلين : الفاعل والمفعول به ، والناكح يده ، وناكح البهيمة ، وناكح المرأة في دبرها ، وناكح المرأة وابنتها ، والزاني بحليلة جاره ،والمؤذي لجاره حتى يلعنه
‘সাত শ্রেণীর লোকের উপর আল্লাহ অভিশাপ বর্ষণ করেন, কিয়ামতের দিন এদের দিকে তাকাবেন না এবং এদেরকে জাহান্নামে প্রবেশের আদেশ দিবেন। এরা হল- সমকামী, হস্তমৈথুনকারী, জীবজন্তুর সাথে সঙ্গমকারী, স্ত্রীর সঙ্গে পুংমৈথুনকারী, কোন মহিলা ও তার কন্যাকে একসাথে বিবাহকারী, প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে ব্যভিচারকারী এবং প্রতিবেশীকে এমন কষ্টদানকারী, যার কারণে সে তাকে অভিশাপ দেয় । তবে এরা যদি তাওবা করে তাহলে তারা সবাই হয়ত ক্ষমা পেতে পারে।’ [বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান ৭/৩২৯]
হস্তমৈথুন কবীরা গুনাহ হলেও কবীরা গুনাহে লিপ্ত হওয়ার কারণে ঈমান চলে যায় না। বরং কেউ যদি কবীরা গুনাহকে বৈধ মনে করে করে থাকে তাহলে তার ঈমান চলে যাবে।
সুতরাং যে ঘরে কুরআন আছে সে ঘরে হস্তমৈথুন করলে ঈমানের ক্ষতি না হলেও উক্ত কাজের কারণে তওবা করতে হবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم