প্রশ্ন
আমাদের ভার্সিটিতে কিছু ছাত্র আছে আদিবাসী। তারা বৈসাবি উৎসব পালন করে থাকে। জানতে চাচ্ছি, তাদের সাথে মিলেমিশে এই উৎসব উদযাপন করা যাবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
ইসলামি শরিয়তে মৌলিক উৎসব দু’টি। ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা। বৈসাবি উৎসব নামে কোনো উৎসব ইসলামে নেই। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَدِمَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ وَلَهُمْ يَوْمَانِ يَلْعَبُونَ فِيهِمَا فَقَالَ مَا هَذَانِ الْيَوْمَانِ . قَالُوا كُنَّا نَلْعَبُ فِيهِمَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ . فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللهَ قَدْ أَبْدَلَكُمْ بِهِمَا خَيْرًا مِنْهُمَا يَوْمَ الأَضْحَى وَيَوْمَ الْفِطْرِ
‘আনাস ইবনে মালিক (রা.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সা.) মদীনাতে এসে দেখেন, মদীনাবাসীরা নির্দিষ্ট দু’টি দিনে খেলাধুলা ও আনন্দ করে থাকে। রাসূল (সা.) জিজ্ঞেস করলেন, এ দু’টি দিন কিসের? সকলেই বললো, জাহিলী যুগে আমরা এ দু’দিন খেলাধুলা করতাম। রাসূল (সা.) বললেন, মহান আল্লাহ তোমাদের এ দু’দিনের পরিবর্তে উত্তম দু’টি দিন দান করেছেন। তা হলো, ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতরের দিন।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ১১৩৪]
তাছাড়া এটা আদিবাসীদের একটি ধর্মীয় উৎসব। আর বিধর্মীদের উৎসব পালন করা শরিয়তে নিষেধ। কাজেই বৈসাবি উৎসব পালন করা বৈধ হবে না।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم