প্রশ্ন
জনৈক বক্তা তার বয়ানে বলেছেন, উম্মতে মুহাম্মাদী গুনাহের কারণে জাহান্নামে গেলেও রাসূল (সা.)-এর উসিলায় তাদের কোনো শাস্তি হবে না। বরং জাহান্নামে গিয়ে ঘুমিয়ে থাকবে। ঘুম থেকে উঠে জান্নাতে চলে যাবে। জানতে চাচ্ছি, এ বক্তব্যে কোনো রেফারেন্স আছে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
কোনো সহিহ ও বিশুদ্ধ সূত্রে এ জাতীয় কোনো বর্ণিত হয়নি। বরং এর বিপরীত বিষয় বর্ণিত হয়েছে। অর্থাৎ, গুনাহগার মুমিন হলেও তাকে জাহান্নামে তার শাস্তি ভোগ করতে হবে। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন,
يُعَذَّبُ نَاسٌ مِنْ أَهْلِ التَّوْحِيدِ فِي النَّارِ حَتَّى يَكُونُوا فِيهَا حُمَمًا ثُمَّ تُدْرِكُهُمُ الرَّحْمَةُ فَيُخْرَجُونَ وَيُطْرَحُونَ عَلَى أَبْوَابِ الجَنَّةِ» قَالَ: فَيَرُشُّ عَلَيْهِمْ أَهْلُ الجَنَّةِ المَاءَ فَيَنْبُتُونَ كَمَا يَنْبُتُ الغُثَاءُ فِي حِمَالَةِ السَّيْلِ ثُمَّ يَدْخُلُونَ الجَنَّةَ
‘কিছু তাওহীদবাদী লোককেও জাহান্নামের শাস্তি প্রদান করা হবে। এমনকি তারা তাতে পুড়তে পুড়তে কয়লার মতো হয়ে যাবে। তারপর আল্লাহ তাআলার রহমতে তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করা হবে এবং জান্নাতের দরজায় নিক্ষেপ করা হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, জান্নাতে বসবাসকারীরা তাদের উপর পানি ছিটিয়ে দিবে। যার ফলে তারা সজীব হয়ে যাবে যেমনটি বন্যার স্রোত চলে যাবার পর মাটিতে উদ্ভিদ গজায়। তারপর তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ [সুনানে তিরমিযি, হাদিস: ২৫৯৭]
আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআতের আকীদাও এটাই যে, মুমিন গুনাহগার যারা থাকে, আল্লাহ তাআলা ইচ্ছা করলে তাদের ক্ষমাও করে দিতে পারেন, আবার গুনাহের কারণে শাস্তিও দিতে পারেন। তবে তারা চিরস্থায়ী জাহান্নামী হবে না।
কাজেই উক্ত বক্তা যা বলেছেন, তা বিশুদ্ধ বর্ণনা বিরোধী। সুতরাং এ জাতীয় কথা বলা থেকে বিরত থাকা কর্তব্য।
আকীদাতুত তাহায়ী পৃ: ৬৬
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم