প্রশ্ন
আমি শয়তানের ধোঁকায় পড়ে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়েছিলাম। এখন তওবা করেছি। কিছুদিন পর মেয়ে দেখতে যাব। সেখানে যদি হবু স্ত্রী এ সকল বিষয় জিজ্ঞাসা করে তাহলে তা গোপন রাখা যাবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
গুনাহের কথা প্রকাশ করা উচিৎ নয়। রাসূল (সা.) গুনাহের কথা প্রকাশ করতে নিষেধ করেছেন। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,
‘আল্লাহ তাআলা যে সকল হারাম কাজকে নিষিদ্ধ করেছেন, তা থেকে তোমরা বেঁচে থাক। কেউ যদি শয়তানের ধোঁকায় পড়ে তাতে লিপ্ত হয়ে যাও, তাহলে তা গোপন রাখ। যেহেতু আল্লাহ তা গোপন রেখেছেন এবং আল্লাহর কাছে তওবা কর। কেননা কেউ যদি তা আমাদের সম্মুখে প্রকাশ করে তাহলে আমরা তার উপর আল্লাহর বিধান প্রয়োগ করব।’ [বুলুগুল মারাম, হাদিস: ১২২২]
আরেক হাদিসে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,
كُلُّ أُمَّتِي مُعَافًى إِلاَّ الْمُجَاهِرِينَ، وَإِنَّ مِنَ الْمَجَانَةِ أَنْ يَعْمَلَ الرَّجُلُ بِاللَّيْلِ عَمَلاً، ثُمَّ يُصْبِحَ وَقَدْ سَتَرَهُ اللَّهُ، فَيَقُولَ يَا فُلاَنُ عَمِلْتُ الْبَارِحَةَ كَذَا وَكَذَا، وَقَدْ بَاتَ يَسْتُرُهُ رَبُّهُ وَيُصْبِحُ يَكْشِفُ سِتْرَ اللَّهِ عَنْهُ
‘আমার সকল উম্মাতকে মাফ করা হবে, তবে প্রকাশকারী ব্যতীত। আর নিশ্চয় এ বড়ই অন্যায় যে, কোন লোক রাতের বেলা অপরাধ করল যা আল্লাহ গোপন রাখলেন। কিন্তু সে সকাল হলে বলে বেড়াতে লাগল, হে অমুক! আমি আজ রাতে এই এই কাজ করেছি। অথচ সে এমন অবস্থায় রাত কাটাল যে, আল্লাহ তার কর্ম লুকিয়ে রেখেছিলেন, আর সে ভোরে উঠে তার উপর আল্লাহর দেয়া আবরণ খুলে ফেলল।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬০৬৯]
তবে গুনাহ গোপন রাখতে গিয়ে মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া যাবে না। কারণ, মিথ্যা বলা শরিয়তের দৃষ্টিতে হারাম। বরং কেউ জিজ্ঞাসা করলে কৌশলের সাথে বিষয়টি এড়িয়ে যেতে হবে।
কাজেই আপনাকে যদি হবু স্ত্রী জিজ্ঞাসা করে তাহলে কৌশলের সাথে বিষয়টি এড়িয়ে যাবেন।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
