প্রশ্ন
জনৈকা নারী প্রেমিকের সাথে অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়েছে। এখন সে অনুতপ্ত। সে জানতে চাচ্ছে, তার জন্য কি তওবার কোনো সুযোগ আছে? আল্লাহ তাআলা কি তার তওবা কবুল করবেন?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
বিয়ে বহির্ভুত সম্পর্ক রাখা শরিয়তের দৃষ্টিতে হারাম ও নাজায়েয। কাজেই উক্ত নারীর এ কাজটি অত্যন্ত গর্হিত হলেও সে যদি খাঁটি মনে তওবা করে, তাহলে আশা করা যায় আল্লাহ তাআলা অবশ্যই তার তওবা কবুল করবেন।কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
قُلْ يَاعِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
‘বল, ‘হে আমার বান্দাগণ, যারা নিজেদের উপর বাড়াবাড়ি করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। অবশ্যই আল্লাহ সকল পাপ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’।’ [সূরা যুমার, আয়াত: ৫৩]
অপর আয়াতে ইরশাদ হয়েছে,
إِنَّمَا التَّوْبَةُ عَلَى اللَّهِ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السُّوءَ بِجَهَالَةٍ ثُمَّ يَتُوبُونَ مِنْ قَرِيبٍ فَأُولَئِكَ يَتُوبُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ
‘নিশ্চয় তাওবা কবুল করা আল্লাহর জিম্মায় তাদের জন্য, যারা অজ্ঞতাবশত মন্দ কাজ করে। তারপর শীঘ্রই তাওবা করে। অতঃপর আল্লাহ এদের তাওবা কবুল করবেন।’ [সূরা নিসা, আয়াত: ১৭]
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,
فَإِنَّ العَبْدَ إِذَا اعْتَرَفَ ثُمَّ تَابَ، تَابَ اللَّهُ عَلَيْهِ
‘বান্দা যখন গুনাহ স্বীকার করে তওবা করে তখন আল্লাহ তাআলা তওবা কবুল করেন।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৪১৪১]
সুতরাং উক্ত নারী যদি খাঁটি তওবা করতে পারে তাহলে আশা করা যায় আল্লাহ তাআলা তার তওবা কবুল করবেন।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم