প্রশ্ন
বর্তমানে নারীরা মসজিদে যেতে পারবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
রাসূল (সা.)-এর যুগে নারীদের মসজিদের যাওয়ার অনুমতি থাকলেও তা ছিল শর্ত সাপেক্ষে। একাধিক হাদিস থেকে বিষয়টি বুঝা আসে। তন্মধ্যে কিছু হল, ফেতনার আশংকা না থাকা, নারীরা সুগন্ধি ব্যবহার না করা, পর্দার খেলাফ কোনো কিছু না হওয়া ইত্যাদি সহ আরো কিছু শর্ত রয়েছে। উক্ত শর্তগুলো রক্ষা করে কোনো নারী যদি মসজিদে আসতে চায় তাহলে তাকে অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। তা সত্ত্বেও নারীদের জন্য ঘরে নামাজ পড়াই উত্তম। রাসূল (সা.)-এর হাদিস ও সাহাবায়ে কেরামের আমল দ্বারাও বিষয়টি বুঝা যায়। হাদিস শরিফে এসেছে,
‘আব্দুল্লাহ ইবনে সুওয়াইদ আল আনসারী (রহ.) তার চাচী উম্মে হুমাইদ (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, তিনি রাসূল (সা.)-এর কাছে এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, আমি আপনার পিছনে নামাজ পড়তে পছন্দ করি। রাসূল (সা.) বললেন, আমি জানি, তুমি আমার পিছনে নামাজ পড়তে পছন্দ কর। কিন্তু তোমার একান্ত গৃহে নামাজ পড়া তোমার সাধারণ ঘরে নামাজ পড়া থেকে উত্তম। তোমার সাধারণ ঘরে নামাজ পড়া তোমার বাড়িতে নামাজ পড়া থেকে উত্তম। তোমার বাড়িতে নামাজ পড়া তোমার মহল্লার মসজিদে নামাজ পড়া থেকে উত্তম। তোমার মহল্লার মসজিদে নামাজ পড়া আমার মসজিদে তোমার নামাজ পড়া থেকে উত্তম। তখন তিনি ঘরের লোকদের নির্দেশ দিলেন। তার জন্য ঘরের কোণে অন্ধকারাচ্ছন্ন স্থানে নামাজের জায়গা বানানো হল। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সেখানে নামাজ পড়েন।’ [সহিহ ইবনে খুজাইমা, হাদিস: ১৬৮৯; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ২৭০৯০]
তাছাড়া বর্তমান যুগ হল ফেতনার যুগ। কাজেই নারীরা ঘরেই নামাজ পড়বে। এ কারণেই আয়েশা (রা.) বলেছিলেন,
‘রাসূলুল্লাহ (সা.) যদি আজকের মহিলাদের এরূপ অবস্থা দেখতেন (যেমন সুগন্ধি লাগানো, বেপর্দা চলা), তাহলে অবশ্যই তিনি তাদেরকে মসজিদে যেতে নিষেধ করে দিতেন। যেরূপ নিষেধ করে দেয়া হয়েছিল বনী ইসরাঈলের মহিলাদের। বর্ণনাকারী ইয়াহইয়া বলেন, আমি আমরাহকে বললাম, বনী ইসরাঈলের মহিলাদের কি নিষেধ করা হয়েছিল? তিনি বললেন, হ্যাঁ।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৫৬৯]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم