প্রশ্ন
ইমাম সাহেব কেরাত পাঠ করা অবস্থায় কেউ যদি নামাজে শরিক হয় তাহলে সে ছানা পাঠ করবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
ইমাম সাহেব যখন কেরাত পাঠ করেন তখন মনোযোগ দিয়ে তা শ্রবণ করা জরুরি। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
وَإِذَا قُرِئَ الْقُرْآنُ فَاسْتَمِعُوا لَهُ وَأَنْصِتُوا لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ
‘আর যখন কুরআন পাঠ করা হয়, তখন তা মনোযোগ দিয়ে শোন এবং চুপ থাক, যাতে তোমরা রহমত লাভ কর।’ [সূরা আরাফ, আয়াত: ২০৪]
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,
إِنَّمَا جُعِلَ الْإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ، فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا، وَإِذَا قَرَأَ فَأَنْصِتُوا، وَإِذَا قَالَ: {غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ} ، فَقُولُوا: آمِينَ، وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا، وَإِذَا قَالَ: سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ، فَقُولُوا: اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ
‘অনুসরণ করার জন্যই তো ইমাম নিযুক্ত করা হয়। সুতরাং ইমাম যখন তাকবীর বলেন, তোমরাও তাকবীর বলো। যখন তিনি কিরাআত পড়েন তখন তোমরা নীরব থাকো। যখন তিনি গাইরিল মাগযূবি আলাইহিম ওয়ালায-যুআলীন বলেন, তখন তোমরা আমীন বলো। যখন তিনি রুকু করেন, তখন তোমরাও রুকু করো। আর যখন তিনি সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ বলেন, তখন তোমরা আল্লাহুম্মা রাববানা ওয়ালাকাল হামদ বলো।’ [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৮৪৬]
কাজেই ইমাম সাহেব কেরাত পাঠরত অবস্থায় কেউ যদি নামাজে শরিক হয় তাহলে সে ছানা পড়বে না। বরং চুপ করে ইমামের কেরাত শ্রবণ করবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم