প্রশ্ন
বিশ্বকাপে প্রিয় দল জিতলে আলহামদুলিল্লাহ বলা শরিয়তের দৃষ্টিতে বৈধ হবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
অমুসলিম কোনো দলকে সাপোর্ট করা তাদের প্রতি ভালোবাসা রাখারই নামান্তর। যা হারাম। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا بِطَانَةً مِّن دُونِكُمْ لَا يَأْلُونَكُمْ خَبَالًا وَدُّوا مَا عَنِتُّمْ قَدْ بَدَتِ الْبَغْضَاءُ مِنْ أَفْوَاهِهِمْ وَمَا تُخْفِي صُدُورُهُمْ أَكْبَرُ ۚ قَدْ بَيَّنَّا لَكُمُ الْآيَاتِ ۖ إِن كُنتُمْ تَعْقِلُونَ
‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা মুমিন ব্যতীত অন্য কাউকে অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করো না, তারা তোমাদের অমঙ্গল সাধনে কোন ক্রটি করে না। তোমরা কষ্টে থাক, তাতেই তাদের আনন্দ। শত্রুতাপ্রসূত বিদ্বেষ তাদের মুখ ফুটে বেরোয়। আর যা কিছু তাদের মনে লুকিয়ে রয়েছে, তা আরো অনেকগুণ বেশী জঘন্য। তোমাদের জন্যে নিদর্শন বিশদভাবে বর্ণনা করে দেয়া হলো, যদি তোমরা তা অনুধাবন করতে সমর্থ হও।’ [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১১৮]
কাজেই বিশ্বকাপের কোনো দলকে সাপোর্ট করা যাবে না।
তাছাড়া বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী কোনো দলকে সাপোর্ট করা হিসেবে বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রতি সমর্থন জানানোর নামান্তর। আর এটা সুস্পষ্টরূপে হারাম। আর হারাম কাজে আলহামদুলিল্লাহ বলা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। ক্ষেত্রবিশেষ তা কুফরি পর্যন্ত নিয়ে যায়।
কেননা যদি কোনো ব্যক্তি হারামকে হালাল মনে করে হারাম কাজে আলহামদুলিল্লাহ বলে কিংবা দ্বীনকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করার জন্য বলে, তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
وَلَئِنْ سَأَلْتَهُمْ لَيَقُولُنَّ إِنَّمَا كُنَّا نَخُوضُ وَنَلْعَبُ قُلْ أَبِاللَّهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُولِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُونَ ۞ لَا تَعْتَذِرُوا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيمَانِكُمْ
‘তাদেরকে জিজ্ঞেস করলে তারা জোর দিয়েই বলবে, ‘আমরা হাস্য রস আর খেল-তামাশা করছিলাম।’ বল, ‘আল্লাহ, তাঁর আয়াত ও তাঁর রাসূলকে নিয়ে তোমরা বিদ্রূপ করছিলে? ওযর পেশের চেষ্টা করো না, ঈমান আনার পর তোমরা কুফরী করেছ। তোমাদের মধ্যেকার কোনো দলকে ক্ষমা করলেও অন্যদেরকে শাস্তি দেব, কারণ তারা অপরাধী।’ [সূরা তওবা, আয়াত: ৬৫-৬৬]
কিন্তু সে যদি উক্ত হারাম কাজকে হালাল মনে না করে, বরং হারাম কাজ সংঘটিত হওয়ার কারণে শুধু আলহামদুলিল্লাহ বলে থাকে, তাহলে তাকে কাফের বলা না হলেও কাজটি অত্যন্ত গর্হিত ও নাজায়েয হবে। এক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তিকে তওবা ও ইস্তেগফার করতে হবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم