প্রশ্ন
জনৈক নারী একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলেছে। নারীদের মাঝে দ্বীন প্রচারের উদ্দেশ্যে সেখানে বিভিন্ন বয়ান সে আপলোড করে থাকে। জানতে চাচ্ছি, তার এ কাজটি কি শরিয়ত সম্মত হচ্ছে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
নারীদের আওয়াজও পর্দার অন্তর্ভুক্ত। যে কারণে প্রয়োজন ছাড়া পর পুরুষের জন্য নারীদের কণ্ঠস্বর শোনা জায়েয নেই। প্রয়োজনের সময় কথা বলার অনুমতি থাকলেও নারীদেরকে কর্কশ ভাষায় কথা বলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেন ফেতনার আশংকা না থাকে।
কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَعْرُوفًا
‘তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় কর, তাহলে পর পুরুষের সঙ্গে আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না, যাতে যার অন্তরে ব্যাধি আছে সে প্রলুব্ধ হয়। আর তোমরা সঙ্গত কথা বলবে।’ [সূরা আহযাব, আয়াত: ৩২]
হাদিস শরিফে এসেছে,
فالعينان زناهما النظر، والأذنان زناهما الاستماع، واللسان زناه الكلام
‘রাসূল (সা.) বলেছেন, দুই চোখের যিনা হলো দেখা, দুই কানের যিনা হলো, শোনা, আর মুখের যিনা হলো কথা বলা।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৬৫৭]
উক্ত নারী নারীদের উদ্দেশ্যে ভিডিও আপলোড করলেও তা অবশ্যই পুরুষদের দৃষ্টিগোচর হবে এবং পুরুষরা সে বয়ান শুনবে। এতে পর্দার বিধান লঙ্ঘন হবে।
কাজেই দ্বীন প্রচারের উদ্দেশ্যে হলেও কোনো নারীর জন্য ইউটিউব চ্যানেল খোলা বৈধ হবে না। বরং তারা ঘরোয়া ভাবে নারীদের মাঝে বয়ান ও তালীমের ব্যবস্থা করবে। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে, এতেও যেন পর্দার বিধানের লঙ্ঘন না হয়।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم