প্রশ্ন
জুমআর নামাজ পড়ার দ্বারা কি এক জুমআ থেকে আরেক জুমআ পর্যন্ত গুনাহ মাফ হয়ে যায়?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
জ্বি, জুমআর নামাজ পড়ার দ্বারা এক জুমআ থেকে আরেক জুমআ পর্যন্ত গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হয়। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন,
لَا يَغْتَسِلُ رَجُلٌ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، وَيَتَطَهَّرُ مَا اسْتَطَاعَ مِنْ طُهْرٍ، وَيَدَّهِنُ مِنْ دُهْنِهِ، أَوْ يَمَسُّ مِنْ طِيبِ بَيْتِهِ، ثُمَّ يَخْرُجُ فَلَا يُفَرِّقُ بَيْنَ اثْنَيْنِ، ثُمَّ يُصَلِّي مَا كُتِبَ لَهُ، ثُمَّ يُنْصِتُ إِذَا تَكَلَّمَ الْإِمَامُ، إِلَّا غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجُمُعَةِ الْأُخْرَى
‘যে ব্যক্তি জুমআর দিন গোসল করে এবং যথাসাধ্য ভালরূপে পবিত্রতা অর্জন করে ও নিজের তেল হতে ব্যবহার করে বা নিজ ঘরের সুগন্ধি ব্যবহার করে, অতঃপর বের হয় এবং দু’জন লোকের মাঝে ফাঁক না করে, অতঃপর তার নির্ধারিত নামাজ আদায় করে এবং ইমামের খুতবা দেয়ার সময় চুপ থাকে, তা হলে তার সে জুমআ হতে আরেক জুমআ পর্যন্ত সময়ের যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৮৮৩]
এছাড়াও জুমআর নামাজের অনেক ফজিলত রয়েছে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم