প্রশ্ন
ইসরাইলী রেওয়ায়েতে অতীতকালের যে সকল ঘটনা বর্ণিত আছে সেগুলো বর্ণনা করা বৈধ হবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
ইসরাইলী রেওয়ায়েত বর্ণনা করার ব্যাপারে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,
بَلِّغُوا عَنِّي وَلَوْ آيَةً وَحَدِّثُوا عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَلَا حَرَجَ وَمَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ
‘আমার কথা পৌঁছিয়ে দাও, তা যদি এক আয়াতও হয়। আর বনী ইসরাঈলের ঘটনাবলী বর্ণনা কর। এতে কোন দোষ নেই। কিন্তু যে কেউ ইচ্ছে করে আমার উপর মিথ্যারোপ করল, সে যেন জাহান্নামকেই তার ঠিকানা নির্দিষ্ট করে নিল।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩৪৬১]
উক্ত হাদিসের ব্যাখ্যায় সহিহ বুখারির ব্যাখ্যাকার আল্লামা হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী (রহ.) তার কিতাবে লিখেন,
‘ইমাম মালেক (রহ.) বলেন, উক্ত হাদিসে ইসরাইলী রেওয়ায়েতের উত্তম বিষয়গুলো বর্ণনা করার বৈধতার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু যে বিষয়গুলো মিথ্যা, সেগুলো বর্ণনা করা যাবে না। আবার কারো কারো অভিমত হল, শুধুমাত্র ঐ সকল ইসরাইলী রেওয়ায়েত বর্ণনা করা যাবে, যেগুলো কুরআন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।’ [ফাতহুল বারী, ৬/৪৯৮-৪৯৯]
কাজেই শুধুমাত্র ঐ সকল ইসরাইলী রেওয়ায়েতই বর্ণনা করা যাবে, যেগুলো সত্য ও উত্তম। পাশাপাশি যেগুলো কুরআন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, সেগুলোও বর্ণনা করা যাবে।
কিন্তু যেগুলো মিথ্যা ও ইসলামি শরিয়ত বিরোধী, সেগুলো বর্ণনা করা বৈধ হবে না।
আলামুল হাদিস ৩/১৫৬৭
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم