প্রশ্ন
মসজিদের নামে ওয়াকফকৃত স্থানে মক্তব–মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করা যাবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
ওয়াকফকৃত বস্তু যে খাতে ওয়াকফ করা হয়েছে তা ঐ খাত ছাড়া অন্য কোনো খাত ব্যবহার করা যাবে না। শরিয়তের দৃষ্টিতে তা নিষিদ্ধ।
তাই মসজিদের নামে ওয়াকফকৃত জায়গায় মক্তব বা মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করা জায়েয হবে না।
হাদিস শরিফে এসেছে, উমর (রা.) একটি খেজুর বাগান ওয়াকফ করতে চাইলে রাসূলুল্লাহ (সা.) তাকে বলেছিলেন: ‘তুমি মূল সম্পত্তিটি এভাবে সদকা (ওয়াকফ) কর যে,لاَ يُبَاعُ وَلاَ يُوهَبُ وَلاَ يُورَثُ، وَلَكِنْ يُنْفَقُ ثَمَرُهُ তা বিক্রি করা যাবে না, কাউকে দান করা যাবে না এবং এতে উত্তরাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে না। এর থেকে উৎপন্ন ফলফলাদি (নির্ধারিত খাতে) ব্যয় হবে। এরপর উমর (রা.) তা ঐভাবে সদকা (ওয়াকফ) করেছিলেন।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৭২৪]
উল্লেখ্য, মসজিদের জন্য ওয়াকফকৃত জায়গায় মক্তব প্রতিষ্ঠা করা না গেলেও মসজিদকেই অস্থায়ীভাবে মক্তব বা মাদরাসার পড়াশোনার কাজে ব্যবহার করা যাবে। তবে এ ক্ষেত্রে মসজিদের আদব ও ইহতিরাম লক্ষ্য রাখতে হবে।
রদ্দুল মুহতার ৪/৩৫৮, আল আশবাহ ওয়ান নাযায়ের, পৃ. ১৬৩
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم