প্রশ্ন
পর্দার বিধান লঙ্ঘন করে এমন ব্যক্তির ইমামতি বৈধ কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
পর্দা একটি ফরজ বিধান। আল্লাহ তাআলা পর্দা করাকে ফরজ করে দিয়েছেন।
কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُلْ لِأَزْوَاجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَاءِ الْمُؤْمِنِينَ يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ مِنْ جَلَابِيبِهِنَّ
‘হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রীগণকে, কন্যাগণকে ও মুমিনদের নারীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে দেয়।’[সূরা আহযাব, আয়াত: ৫৯]
‘আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেছেন, আল্লাহ তাআলা মুমিন নারীদেরকে আদেশ করেছেন যখন তারা কোনো প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হবে তখন যেন মাথার উপর থেকে ওড়না/চাদর টেনে স্বীয় মুখমণ্ডল আবৃত করে। আর (চলাফেরার সুবিধার্থে) শুধু এক চোখ খোলা রাখে।’[ফাতহুল বারী ৮/৫৪, ৭৬, ১১৪]
যে ব্যক্তি পর্দার বিধান লঙ্ঘন করবে শরিয়তের পরিভাষায় তাকে ফাসেক বলা হয়। আর ফাসেক ব্যক্তির পিছনে নামাজ পড়া মাকরুহে তাহরিমি।
হাদিস শরিফে এসেছে,
فليؤمكم خياركم
‘রাসূল (সা.) বলেছেন, তোমাদের মাঝে উত্তম ব্যক্তি যেন তোমাদের ইমামতি করায়।’ [মুসতাদরাকে হাকেম, হাদিস: ৪৯৮১]
তবে মাকরুহ হলেও তার পেছনে নামাজ হয়ে যাবে।
আলমুহীতুল বুরহানী ২/১৭; রদ্দুল মুহতার১/৫৬০
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم