প্রশ্ন
আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারীর শাস্তি কী?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা মারাত্মক গুনাহের কাজ।
ইসলাম মানুষের মাঝে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি রক্ষা করে চলার আহ্বান করে।
আর সৌহার্দ্য সম্প্রীতি রক্ষা করার সবচেয়ে বেশি হকদার হলো আত্মীয়স্বজন।
হাদিস শরিফে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারীর ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি এসেছে।
এক হাদিসে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেন,
‘আল্লাহ যাবতীয় সৃষ্টিকে সৃষ্টি করলেন। যখন তিনি সৃষ্টি কাজ সমাধা করলেন, তখন আত্মীয়তার সম্পর্ক বলে উঠল: সম্পর্ক ছিন্ন করা থেকে আপনার কাছে আশ্রয়প্রার্থীদের এটাই যথাযোগ্য স্থান? তিনি (আল্লাহ) বললেন, হ্যাঁ, তুমি কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, তোমার সাথে যে সুসম্পর্ক রাখবে, আমিও তার সাথে সুসম্পর্ক রাখবো। আর যে তোমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবে, আমিও তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবো। সে বলল, হ্যাঁ, আমি সন্তুষ্ট হে আমার রব! আল্লাহ বললেন, তোমার জন্য সেটাই হবে। রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, ইচ্ছে করলে তোমরা (এ আয়াতটি) পড়:
فَهَلْ عَسَيْتُمْ إِنْ تَوَلَّيْتُمْ أَنْ تُفْسِدُوا فِي الْأَرْضِ وَتُقَطِّعُوا أَرْحَامَكُمْ أُولَئِكَ الَّذِينَ لَعَنَهُمُ اللَّهُ فَأَصَمَّهُمْ وَأَعْمَى أَبْصَارَهُمْ أَفَلَا يَتَدَبَّرُونَ الْقُرْآنَ أَمْ عَلَى قُلُوبٍ أَقْفَالُهَا
অনুবাদ: “তোমরা যদি মুখ ফিরিয়ে নাও তবে তোমাদের কাছ থেকে পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করা ও আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা ছাড়া আর কী আশা করা যায়? ওরা তো তারাই আল্লাহ্ যাদেরকে লানত করেছেন, বধির করে দিয়েছেন ও তাদের চোখ অন্ধ করে দিয়েছেন। তারা কী কুরআন অনুধাবন করবে না? বরং তাদের অন্তরগুলোর উপর তালা দেয়া”। [সহিহ বুখারী, হাদিস: ৫৯৮৭, সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৫৫৪]
অন্য হাদিসে এসেছে,
‘আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৫৬৩৮]
তাই আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করার ব্যাপারে খুবই যত্নবান হওয়া উচিৎ।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم