প্রশ্ন
বড় নোট ভাঙ্গতি করার সময় অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, যিনি খুচরা টাকা দিচ্ছেন তিনি সম্পূর্ণ টাকা খুচরা করে দিতে পারেন না। কিছু টাকা পরে নিতে বলেন। শরিয়তের দৃষ্টিতে এ জাতীয় লেনদেনে কোনো সমস্যা আছে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
শরিয়তের দৃষ্টিতে টাকা খুচরা করাও এক প্রকার টাকা পয়সার লেনদেন। তাই তা বৈধ হওয়ার জন্য একই মজলিসে খুচরা টাকা সম্পূর্ণটাই পরিশোধ করা জরুরি। অন্যথায় তা সুদ হবে। আর সুদ যে হারাম তা তো স্পষ্ট।
কুরআন মাজিদে এসেছে,
أَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا
‘আল্লাহ বেচা-কেনা হালাল করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন।’ [সূরা বাকারা, আয়াত: ২৭৫]
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَأْكُلُوا الرِّبَا أَضْعَافًا مُضَاعَفَةً وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
‘হে মুমিনগণ, তোমরা সুদ খাবে না বহুগুণ বৃদ্ধি করে। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যাতে তোমরা সফল হও।’ [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৩০]
হাদিস শরিফে এসেছে,
‘আবু সাঈদ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সা.) আমাদেরকে আহারের জন্য নিম্ন মানের খেজুর দিতেন। আমরা এই খেজুর পরিমাণে বেশি দিয়ে উত্তম খেজুর বদলে নিতাম। রাসূল (সা.) বলেন: এক সা খেজুরের পরিবর্তে দু’ সা খেজুর এবং এক দিরহামের পরিবর্তে দু’ দিরহাম গ্রহণ করা বৈধ নয়, বরং এক দিরহামের পরিবর্তে এক দিরহাম এবং এক দীনারের পরিবর্তে এক দীনার সমান ওজনে অতিরিক্ত না করে নেয়া যাবে।’ [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২২৫৬]
রদ্দুল মুহতার ৭/৫৫৩; ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া ৩/২০৩; আল ইখতিয়ার ১/৩৩৩
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم