প্রশ্ন
যাকাতের পরিচয় কী?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
যাকাত ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ রুকন। শব্দটির শাব্দিক অর্থ হলো পবিত্রতা, বৃদ্ধি।
শরিয়তের পরিভাষায় যাকাত বলা হয়- প্রয়োজনের অতিরিক্ত নির্দিষ্ট পরিমাণ বর্ধনশীল মালের এক বছর মালিক থাকার পর ঐ সম্পদ থেকে নির্দিষ্ট একটি অংশ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তার নির্ধারিত খাতে ব্যয় করা।
আল্লাহ তাআলা কুরআনের বিভিন্ন জায়গায় নামাজের সাথে সাথেই যাকাতের কথা বলেছেন। যাকাতকে ফরজ করেছেন। যাকাত না দিলে গুরুতর শাস্তিদানের ঘোষণা দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-
وَالَّذِينَ يَكْنِزُونَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ وَلَا يُنْفِقُونَهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَبَشِّرْهُمْ بِعَذَابٍ أَلِيمٍ . يَوْمَ يُحْمَى عَلَيْهَا فِي نَارِ جَهَنَّمَ فَتُكْوَى بِهَا جِبَاهُهُمْ وَجُنُوبُهُمْ وَظُهُورُهُمْ هَذَا مَا كَنَزْتُمْ لِأَنْفُسِكُمْ فَذُوقُوا مَا كُنْتُمْ تَكْنِزُونَ
‘আর যারা স্বর্ণ ও রূপা জমা করে রাখে এবং তা ব্যয় করে না আল্লাহর পথে, তাদের কঠোর আযাবের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন।
সে দিন জাহান্নামের আগুনে তা উত্তপ্ত করা হবে এবং তার দ্বারা তাদের ললাট, পার্শ্ব ও পৃষ্ঠদেশকে দগ্ধ করা হবে। (সেদিন বলা হবে), এগুলো যা তোমরা নিজেদের জন্যে জমা রেখেছিলে, সুতরাং এক্ষণে আস্বাদ গ্রহণ কর জমা করে রাখার।’ [সূরা তাওবা, আয়াত: ৩৪-৩৫]
সাথে সাথে আল্লাহ তাআলা যাকাত আদায় করলে মহাপ্রতিদানেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ইরশাদ হচ্ছে-
وَ الْمُقِیْمِیْنَ الصَّلٰوةَ وَ الْمُؤْتُوْنَ الزَّكٰوةَ وَ الْمُؤْمِنُوْنَ بِاللّٰهِ وَ الْیَوْمِ الْاٰخِرِ ؕ اُولٰٓىِٕكَ سَنُؤْتِیْهِمْ اَجْرًا عَظِیْمًا
‘এবং যারা নামাজ আদায় করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও পরকালে ঈমান রাখে আমি তাদেরকে মহাপুরস্কার দিব।’ [সূরা নিসা, আয়াত: ১৬২]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم